মিয়ানমারের সামরিক সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং সেদেশের ভিন্নমত ও প্রতিপক্ষের প্রতিরোধকে সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ড উল্লেখ করে স্পষ্টভাবে তা মোকাবেলা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এসময় তিনি তার সরকারের মানবাধিকার বিষয়গুলোর সমালোচনাকারী বিভিন্ন দেশকে ‘সন্ত্রাসের সমর্থক’ হিসেবেও অভিযুক্ত করে সাবধান করেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
জেনারেল মিন অং হ্লাইং রাজধানী নেপিডোতে সশস্ত্র বাহিনীর এক প্যারেডে বলেন, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী তাদের শাসনের বিরোধিতাকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই বন্ধ করবে না। মানুষের স্বার্থ নষ্ট করতে চায় এমন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সামরিক আইন জারি করা হচ্ছে।
দেশের গণতন্ত্রের প্রশ্নে তিনি বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং বিজয়ী দলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।

২০২১ সালে ক্ষমতা দখলের পর থেকে দেশটির সামরিক বাহিনী এবং প্রতিপক্ষ গোষ্ঠীর মধ্য এক গৃহযুদ্ধের জন্ম দিয়েছে। এই সংঘর্ষে নিহত হয়েছে হাজার হাজার মানুষ এবং এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
মিয়ানমার তাদের যেকোনো পদক্ষেপে চীন ও রাশিয়া সমর্থন পেয়ে আসছে। সশস্ত্র বাহিনীর প্যারেডেও উপস্থিত ছিল চীন ও রাশিয়ার সামরিক প্রতিনিধি। প্যারেডে চীন ও রাশিয়ার যুদ্ধ বিমান ও ট্যাংক প্রদর্শন করা হয়, যেসব বিভিন্ন মানবতাবিরোধী হামলায় ব্যবহার হয়ে আসছে।
গতসপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ বিমানের জ্বালানি বন্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন পশ্চিমা দেশ মিয়ানমানের সামরিক ও ব্যবসায়িক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা জোরদার করেছে।
বিজ্ঞাপন