৬ বছর পর বলিউড ‘ভাইজান’ সালমান খানের ছবি আসছে বাংলাদেশ। উপমহাদেশের ‘মোস্ট ওয়ানটেড’ এই তারকার অগণিত অনুসারী এ দেশে। তবু সালমান খান ভক্তদের এই ছবি মুক্তি নিয়ে কোনো উন্মাদনা দেখা যায়নি! কারণ অনেকটা পরিষ্কার, ছবিটি আরও পাঁচ মাস আগে মুক্তি পেয়েছে।
এর মধ্যে অনেকেই অনলাইনে দেখে ফেলেছেন। এ ছবি নিয়ে সালমান অনুসারীদের মিশ্র প্রতিক্রিয়ার দেখা গেছে। শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সাফটা চুক্তির মাধ্যমে সালমান খানের ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ মুক্তি পেল ৩৩ প্রেক্ষাগৃহে!
এ ছবিটি স্টার সিনেপ্লেক্স, যমুনা ব্লকবাস্টার, মধুমিতা, মধুবনসহ দেশের বড় বড় সিনেমা হলগুলো দখলে নিয়েছে। একইদিন মুক্তি পেল বিগ বাজেটের ‘এমআর নাইন: ডু অর ডাই’, যা ‘মাসুদ রানা’ নামে পরিচিত।
৮৩ কোটি বাজেটের ‘এমআর নাইন: ডু অর ডাই’ সিনেমায় মাসুদ রানা হয়ে আসছেন এবিএম সুমন। তাকে নিজ দেশে প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে সালমান খানের সঙ্গে। কোনো চাপ অনুভব হচ্ছে? চ্যানেল আই অনলাইনকে এবিএম সুমন বললেন, ‘সালমান খানকে নিয়ে আলাদা কোনো চাপে নেই।’
তিনি বলেন, সালমান খানের এ ছবি আগেই মুক্তি পেয়েছে। আমি আসলে জানতাম না এটা বাংলাদেশে আসবে। ‘এমআর নাইন’ সিনেপ্লেক্সে ২২টি শো পেয়েছে। এর সঙ্গে হলিউডের আরও ছবি আছে। সেগুলোর মতো সালমান খানের ছবিও চলবে। এটা নিয়ে আসলে চাপের কিছু নেই, প্রতিযোগিতা নেই। যেহেতু সালমান খানের ছবি আমার দেশে আসছে, আমাদের প্ল্যানে আছে ইন্ডিয়াতে ‘এমআর নাইন’ মুক্তি দেয়ার, কথাবার্তাও হয়ে আছে।
সালমান খানের ছবি না এলে হয়তো ‘এমআর নাইন’ আরও বেশি হল পেত! প্রশ্নের প্রেক্ষিতে এবিএম সুমন বলেন, সাব কন্টিনেন্টে সালমান শাহরুখের নতুন সিনেমা মানেই সিনেম্যাটিক ফেস্টিভ্যাল বিরাজ করে। যে ছবিটা আসছে সেটা যদি ব্র্যান্ড নিউ আসতো তাহলে হয়তো অন্যরকম ব্যাপার কাজ করতো। কিন্তু এটা আগেই রিলিজ হয়েছে, ফলাফল হয়তো সবার জানা।
যোগ করে তিনি বলেন, প্রথম সপ্তাহে শুধুমাত্র সিনেপ্লেক্সে ‘এমআর নাইন’ মুক্তি পাচ্ছে। হয়তো পরের সপ্তাহে সিঙ্গেল স্ক্রিনগুলোতে মুক্তি পাবে। সালমান খানের জন্য বদার্ড নই। সবসময় আমি ফিল্মের ক্যালিভারে বিশ্বাস করি। আমার বিশ্বাস, ‘এমআর নাইনে’ যে ক্যালিভার আছে যথেষ্ট ভালো চলবে।
প্রয়াত কাজী আনোয়ার হোসেনের সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্র মাসুদ রানা, যা নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে বহু বই এবং প্রতিটি সিরিজই ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পায়। তারই একটি ‘ধ্বংস পাহাড়’, যা অবলম্বনে তৈরি হয়েছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রযোজনায় ‘এমআর-৯: ডু অর ডাই’। নির্মাণ করেছেন আসিফ আকবর।
বাংলাদেশের পাশাপাশি আমেরিকা কানাডায় স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো পরিবেশনায় ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে। এর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ অলিউল্লাহ সজীব জানান, কানাডা ও আমেরিকাতে ১৫১টির মতো থিয়েটারে এটি মুক্তি পাচ্ছে এমআর নাইন। এটাই সর্বাধিক হল পেতে যাওয়া বাংলা ছবি হতে যাচ্ছে।