পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় এক আসামীকে গ্রেপ্তার করায় মহিপুর থানা ঘেরাও করা হয়েছে। এতে পুলিশের লাঠিচার্জ ও উভয় পক্ষের হামলা পাল্টা হামলায় আট পুলিশসহ ২৩ জন আহত হয়েছে।
আহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে মহিপুর থানার এসআই হালিমকে কলাপাড়া হাসপাতালে এবং নারী সদস্য শীলা ও নাসরিনকে কুয়াকাটা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া মিলন, আফজাল, ওবায়দুল এবং নারী সদস্য নাহার ও লিজাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
শুক্রবার বিকেলে পুলিশের সাথে পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের এই সংঘর্ষের পর পুলিশ মেম্বার প্রার্থী জলিল ঘরামিকেও গ্রেপ্তার করে।
মহিপুর থানার ওসি মোঃ আবুল খায়ের জানান, লতাচাপলী ইউনিয়নের দুই নং ওয়ার্ডে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী জলিল ঘরামির ভাই খলিল ঘরামির নেতৃত্বে বিজয়ী মেম্বার প্রার্থী আবুল কাজীর সমর্থক কবির মোল্লাকে বৃহস্পতিবার বেদম মারধর করলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় কবির মোল্লার স্ত্রী শিউলি বেগম মহিপুর থানায় খলিল ঘরামিসহ কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। বিকেল তিনটার দিকে পুলিশ আসামি খলিল ঘরামিকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। এর পরপরই খলিলকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে কয়েক’শ নারী-পুরুষ জলিল ঘরামি ও লাইলি বেগমের নেতৃত্বে থানা ঘেরাও করে। পুলিশ তাদেরকে চলে যাওয়ার অনুরোধ করলে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে হামলা চালায়। পুলিশও হামলা ঠেকাতে লাটিপেটা করলে উভয় পক্ষের ঘণ্টাব্যাপী সংঘাত হয়। চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ।
এতে আট পুলিশ সদস্য এবং জলিল সমর্থকদের ১৫ জন আহত হয়। জলিল সমর্থকদের আহত আঃ রাজ্জাক, রাজা মিয়া, দুলাল, মনির মোল্লা, মনিরুজ্জামান, কাদের মাঝি, মিলন বেপারী, ওবায়দুল্লাহ, ইলিয়াস, রায়হান, মোসলেম, মজিদ, ইউসুফ, বিউটি ও সাফিয়ার নাম জানা গেছে।
ওসি আবুল খায়ের আরও জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হচ্ছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।