চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

তুরস্কে একদল উদ্ধারকারী কুকুর পাঠালো মেক্সিকো

তুরস্ক এবং সিরিয়ায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া মানুষদের খুঁজে বের করতে সাহায্য করার জন্য মেক্সিকো তাদের বিখ্যাত অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী কুকুরের একটি দল তুরস্কে পাঠিয়েছে।

মঙ্গলবার ১৬টি কুকুর নিয়ে একটি বিমান মেক্সিকো সিটি থেকে তুরস্কের উদ্দেশে যাত্রা করে।

মেক্সিকো একটি ভূমিকম্প প্রবণ দেশ। সেখানে বিশেষ সামরিক এবং বেসামরিক দল রয়েছে যা প্রায়শই দুর্যোগের সময় সাহায্য করার জন্য তৈরি থাকে। দেশটির ২০১৭ সালের ভূমিকম্পের সময় এই বিশেষ কুকুরগুলি বেশ কিছু জীবন বাঁচিয়ে মেক্সিকানদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পায়।

সেসময় ফ্রিদা নামে একটি হলুদ ল্যাব্রাডর রিট্রিভার কুকুরকে মেক্সিকো সিটিতে প্রতিরক্ষামূলক গগলস এবং বুট পরে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের সন্ধান করতে দেখা যায়। কুকুরটি তখন আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করে। মেক্সিকো, হাইতি, গুয়াতেমালা এবং ইকুয়েডরে অপারেশনে অংশ নিয়ে ৪০ টি মৃতদেহ সনাক্ত করে ও ১২ জনের জীবন বাঁচায় ফ্রিদা। কুকুরটি গত বছর বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যায়।

অত্যন্ত অভিজ্ঞ স্বেচ্ছাসেবকদের একটি দল মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্সেলো ইব্রার্ডকে তুরস্কে গিয়ে তাদের সাহায্য করার জন্য প্রস্তাব দেয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মন্ত্রী জানান, মেক্সিকো সিটি থেকে তাদের তুর্কি দূতাবাসে যাওয়ার জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি বিমানে চড়ে একটি অনুসন্ধানী কুকুরের সাথে ভিডিও পোস্ট করেছেন।

মেক্সিকো ছাড়াও ক্রোয়েশিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, জার্মানি, গ্রীস, লিবিয়া, পোল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের দেশ থেকে তুরস্ক ও সিরিয়ায় উদ্ধারকারী কুকুর পাঠাচ্ছে।

কুকুরগুলোকে প্রশিক্ষিত করা হয় মানুষের গন্ধ শুঁকে বের করার জন্য। যেখানে গন্ধ সবচেয়ে বেশি সেখানে তারা ডেকে উঠে এবং মাটিতে আঁচড়ে তাদের হ্যান্ডলারদের সতর্ক করে।

মেক্সিকান সেনা কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের লক্ষ্য মানুষের জীবন বাঁচানো। এই কুকুরগুলো মৃতদেহের গন্ধের পাশাপাশি ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা জীবিত ব্যক্তিদেরও সনাক্ত করতে পারে তাই উদ্ধার কাজে এই বিশেষ কুকুরগুলোকে ব্যবহার করছে তারা।

অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে ৪৬ জনের একটি উদ্ধারকারী দল তুরস্কে পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। দলটিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হতে ২৪ জনের একটি মধ্যম উদ্ধারকারী দল, ১০ জনের মেডিকেল টিম এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর ১২ জন সদস্য থাকবেন। উদ্ধারকারী দলের নেতৃত্ব দেবেন সেনাবাহিনীর লে. কর্ণেল মো. রুহুল আমিন, পিএসসি। আজ ৮ ফেব্রুয়ারি রাতেই উদ্ধারকারী দলটি তুরস্কের উদ্দেশে রওনা হবে।