পাবনায় আত্মসমর্পন করা চরমপন্থী নেতা মুসা হত্যাকারীদের ধরতে গিয়ে অত্যাধুনিক অস্ত্র এবং গোলাবারুদসহ ৫ চরমপন্থী(সর্বহারা) ক্যাডারকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- চাটমোহর উপজেলার কদমতলী গ্রামের আব্দুল হাই সামাদের ছেলে সাইফুর ইসলাম ওরফে শুটার সিরাজ (২৫), আটঘরিয়া উপজেলার নগরচাচকিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের মো. নায়েব আলীর ছেলে মো. একরাম হোসেন (২৫), আমিনপুর থানার চর দূর্গাপুর গ্রামের কোরবান ব্যাপারীর ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম (২৫), আতাইকুলা থানার সাদুল্লাহপুর ইউনিয়নের ফারাদপুর নতুনপাড়া গ্রামের গফুর প্রামাণিকের ছেলে নাহিদুল ইসলাম শাকিল (১৯) এবং রাজবাড়ী জেলার চরভরাট গ্রামের মো. আজিজুল আয়নাল প্রামানিকের ছেলে জালাল প্রামানিক (২৮)।
এরা সবাই পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত এলাকার আত্মসমর্পন করা সর্বহারা নেতা চাঞ্চল্যকার মুসা হত্যায় সরাসরি জড়িত বলে পুলিশের ধারণা।
পাবনার পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী নিজ কার্যালয়ে এক প্রেস-ব্রিফিং এ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আতাইকুলা থানার ফারাদপুর নতুন পাড়ার মো. নাহিদের বাড়িতে সর্বহারাদের আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশের দুটি চৌকশ দল। অভিযানে ৫ চরমপন্থিকে কোনও ধরনের রক্তপাত ছাড়াই আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ১টি ম্যাগাজিন, ১ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ১টি ওয়ান শুটার গান, ১টি বিদেশি এসএমসি, ম্যাগাজিন, ১৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, একটি শর্টগান, ৩২ রাউন্ড বারো বোরের তাজা কার্তুজ, ৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ অক্টোবর বিকালে আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের অলির মোড়ে চায়ের দোকানের পেছনে ক্যারাম খেলছিল ২০১৯ সালে আত্মসমর্পন করা সর্বহারা নেতা মুসা খাঁ (২৮)। এসময় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাকে শতাধিক মানুষের সামনে প্রকাশ্যে গুলি করে ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। হত্যার পর সন্ত্রাসীরা সর্বহারা জিন্দাবাদ, মাওবাদি বলশেভিক জিন্দাবাদ শ্লোগান দিয়ে বীরদর্পে চলে যায়।