অস্ট্রেলিয়ার মর্যাদাপূর্ণ অ্যালান বোর্ডার মেডেল পুরস্কার জিতেছেন সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ। মেয়েদের মর্যাদাপূর্ণ বেলিন্ডা ক্লার্ক অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন অ্যাশলে গার্ডনার। বর্ষসেরা টেস্ট খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন অফস্পিনার নাথান লায়ন।
২০২৩ সাল অসাধারণ কাটানো মার্শ অ্যাশেজ দিয়ে টেস্টে ফিরে হেডিংলিতে দারুণ সেঞ্চুরি হাঁকান, করেন ১১৮ রান। এরপর ৪৯ গড়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৪৪১ রান করেন যেখানে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে অপরাজিত ১৭৭ রানের ইনিংস খেলেন। পুরস্কার জিতে ধন্যবাদ দিয়েছেন স্ত্রী, প্যাট কামিন্স ও প্রধান কোচকে।
টানা দ্বিতীয়বার বেলিন্ডা ক্লার্ক পুরস্কার জিতলেন ২৬ বর্ষী অ্যাশলে গার্ডনার। ছেলেদের মত মেয়েদের অ্যাশেজেও দুর্দান্ত কেটেছে অস্ট্রেলিয়ার। নির্ধারিত সময়ে ডানহাতি অফস্পিনার দুই টেস্ট খেলে ১৭ উইকেট নিয়েছেন, রান করেছেন ৫৯। ওয়ানডেতে ১১ ম্যাচে ১৯ উইকেটের পাশাপাশি ১৯৯ রান করেছেন। এছাড়া টি-টুয়েন্টিতেও তার ১৯ উইকেট রয়েছে।
শেন ওয়ার্ন মেন্স টেস্ট প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার জিতেছেন নাথান লায়ন। যদিও চোটের কারণে অ্যাশেজের শেষ তিন ম্যাচ খেলতে পারেননি ৩৬ বর্ষী এ স্পিনার। অ্যাশেজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা লায়ন ঘরের মাটিতে পার্থে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫০০ উইকেটের এলিট ক্লাবে প্রবেশ করেন।
অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট অ্যাওয়ার্ডে অন্যান্য পুরস্কার জিতলেন যারা-
অ্যালান বোর্ডার মেডেল: মিচেল মার্শ।
বেলিন্ডা ক্লার্ক অ্যাওয়ার্ড: অ্যাশলে গার্ডনার।
শেন ওয়ার্ন মেন্স টেস্ট প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার: নাথান লায়ন।
মেন্স ওডিআই প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার: মিচেল মার্শ।
ওমেন্স ওডিআই প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার: এলিস পেরি।
ওমেন্স টি-টুয়েন্টি প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার: এলিস পেরি।
মেন্স টি-টুয়েন্টি প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার: জেসন ব্যারেনডর্ফ।
বিবিএল প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট: ম্যাট শর্ট।
ডব্লিউবিবিএল প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট: চামারি আতাপাত্তু।
মেন্স ডমিস্টিক ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার: ক্যামেরন ব্যানক্রফট।
ওমেন্স ডমিস্টিক ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার: সোফি ডে এবং এলিস ভিলানি।
ব্রাডম্যান মেল ইয়ং ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার: ফার্গুস ও’নেইল।
বেটি উইলসন ফিমেল ইয়ং ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার: এমা ডে ব্রাগ।