পাঁচ দিনের চীন সফর শেষ করে দেশে ফেরার পরই ভারতের সাথে মালদ্বীপের বৈরিতায় নিজের অবস্থান স্পষ্টভাবে প্রকাশ করলেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহম্মদ মুইজ্জু। ভারত এবং মালদ্বীপের মধ্যকার টানাপোড়েনের মধ্যে শনিবার একটি বিবৃতি দিয়ে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট জানান, কাউকে চমকানোর অধিকার দেয়নি তার সরকার।
রোববার ১৪ জানুয়ারি আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার সংবাদ সম্মেলনে মুইজ্জু বলেন, ‘হতে পারি আমরা ক্ষুদ্র। কিন্তু তাই বলে কাউকে চমকানোর ছাড়পত্র দিয়ে দিইনি আমরা।’ বিবৃতিতে কোনো দেশের নাম না করা হলেও মনে করা হচ্ছে, ভারতকে উদ্দেশ্য করেই এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুইজ্জু।
তার এই বক্তব্যের পরেই নতুন মাত্রা পেয়েছে ভারত-মালদ্বীপ বিতর্ক। যদিও এর আগে থেকেই দেশ দু’টির মাঝে বৈরিতা চলে আসছে।
মালদ্বীপ থেকে সেনাসদস্য সরানোসহ কয়েকটি চুক্তি বাতিল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকদের ‘বয়কট মালদ্বীপ’র প্রেক্ষাপটে মুইজ্জুর ‘চমকাবেন না’ হুঁশিয়ারিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মালদ্বীপের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে এমনিতেই ‘চীনপন্থী’ বলে পরিচিত মুইজ্জু চীন সফরের পরেই ভারত সম্পর্কে অপেক্ষাকৃত নরম সুর বদলে চরম পথে হাঁটার ইঙ্গিত দিলেন কি না, উঠছে সেই প্রশ্নও।
পাঁচ দিনের চীন সফরের তৃতীয় দিনে গত বুধবার শি জিনপিংয়ের সাথে রাজধানী বেইজিংয়ে বৈঠক করেন মুইজ্জু। সেখানেই ভারতের সাথে সাম্প্রতিক সংঘাতের আবহে মালদ্বীপের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন চীনা প্রেসিডেন্ট তথা কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষনেতা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ওই বৈঠকেই বেইজিংকে তাদের ‘পুরনো বন্ধু এবং ঘনিষ্ঠতম সহযোগী’ বলেন মুইজ্জু। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় আর্থিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা সংক্রান্ত কয়েকটি চুক্তি সই হয়।