আফগানিস্তান-পাকিস্তানের মধ্যকার প্রধান সীমান্ত ক্রসিংটি সোমবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দুই পক্ষের কর্মকর্তারা এবং স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সীমান্ত ট্রানজিট পয়েন্টের কাছে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।
আফগান নাকি পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ খাইবার পাসের পাশে দুদেশের মধ্যে এই প্রধান তোরখাম সীমান্ত ক্রসিংটি বন্ধ করে দিয়েছে সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান এবং পাকিস্তান সরকারের মধ্যে চরম সম্পর্ক অবনতির পরে এই ঘটনা ঘটল।
পূর্ব আফগানিস্তানের নাঙ্গাহার প্রদেশে তালেবান প্রশাসনের পুলিশ বাহিনীর একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন: সীমান্ত এখন বন্ধ, আমরা পরে এব্যাপারে বিস্তারিত জানাব।
রোববার সন্ধ্যায় সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হলেও দুপক্ষের কেউই কোনো কারণ জানায়নি বলে জানিয়েছে গণমাধ্যম।
পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী, পুলিশ বা সরকারী মুখপাত্র তাৎক্ষণিকভাবে কারোরই মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এই অঞ্চলের দুইজন পাকিস্তানি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে, দুদেশের মধ্যে সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং গুলি বিনিময়ও হয়েছে।
পাকিস্তান এবং স্থলবেষ্টিত আফগানিস্তানের মধ্যে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের প্রধান পথ হল এই তোরখাম সীমান্ত পয়েন্ট।
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যকার সীমান্ত সংঘর্ষের ইতিহাস বহু যুগের পুরনো। আফগানিস্তানে দুই দশকের মার্কিন-সমর্থিত সরকারের শাসনের সময়ও এটা চলমান ছিল এবং ২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তান দখল করার পর থেকে সীমান্তে সংঘর্ষ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আফগান ও পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে দুই দেশের মধ্যে দ্বিতীয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষিণের চামান সীমান্ত ক্রসিংটিও মাঝে মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়।