টানা তিন সিরিজে দলের বাইরে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এশিয়া কাপে ফেরার জন্য মরিয়া চেষ্টা করেও জুটেছে আবারও হতাশা। ৩৭ বছর বয়সী ব্যাটার ফিটনেস টেস্টে ভালোভাবে উতরে গেলেও ভবিষ্যতের ভাবনায় তাকে এশিয়া কাপের বাইরে রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। বিশ্বকাপেও সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা কমে গেছে। অন্যদিকে এখনই মাহমুদউল্লাহ অধ্যায়ের শেষ দেখছেন না বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক, বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন।
যোগ্যতার বিচারেই মাহমুদউল্লাহ আবারও জাতীয় দলে ফিরবেন, এমন আশা সুজনের। মিরপুরে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবসের আয়োজনে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, সম্ভাবনা একদম শেষ হয়ে যায়নি সাইলেন্ট কিলারের।
‘এখনই বলব না যে ওর শেষটা দেখছি। এখনও রিয়াদ দারুণ লড়াকু। দলের সমন্বয় বা যে কারণেই বাদ পড়ুক না কেনো, টিম ম্যানেজমেন্ট বা নির্বাচকরা যদি না নেয়, তাতে ভেঙে পড়ার কিছু নেই। এটা সত্যি কথা, রিয়াদের বয়সও হচ্ছে। তবে এখনও বিশ্বাস করি, রিয়াদ যেভাবে লড়াই করে, চেষ্টা করে, তাতে শেষ হয়ে গেছে বলাটা ঠিক হবে না। সুযোগ আবার আসতেও পারে এবং আবার খেলবে।’
মার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সবশেষ সিরিজ খেলেন মাহমুদউল্লাহ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হোম ও অ্যাওয়ে সিরিজের দলে বিবেচনা করা হয়নি অভিজ্ঞ ব্যাটারকে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে কিছুদিন আগে শেষ হওয়া সিরিজের সময় পবিত্র হজ পালনে যান। টেস্ট, টি-টুয়েন্টির পর এবার ওয়ানডে ক্যারিয়ারও থমকে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার।
তবে মাহমুদউল্লাহ এখানেই থেমে যাবেন বলে মনে করেন না সুজন, ‘রিয়াদ এখনও বিসিবির চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার। সুতরাং আমার মনে হয়, রিয়াদ এখনও সেই খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতাটাই রাখবে। নিজের সাথে লড়াই করবে এবং নিজের সাথে লড়াই করাটাই সবচেয়ে বড় লড়াই হবে। মনে করি, লড়াই করার পর রিয়াদের সেই সুযোগটা থাকবে।’
এবার এশিয়া কাপের দল ঘোষণার আগে ৩২ জনের ফিটনেস ক্যাম্পে ডাকা হয়েছিল ৩৭ বছর বয়সী রিয়াদকে। তারও আগে থেকে তিনি শুরু করেন ব্যক্তিগত অনুশীলন। পরে বাকিদের সঙ্গে ঘাম ঝরান ফিটনেস ক্যাম্পে। তাতে দলে ফেরার আশাও জাগে। তবে জাতীয় দলের দুয়ার খুলল না। দীর্ঘায়িত হয়েছে ফেরার অপেক্ষা।