সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করছে আর সাগর রয়েছে উত্তাল। সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করেছে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস। নিম্নচাপের প্রভাবে সাগরে জোয়ারের পানি দুই থেকে তিন ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত তিন দিন ধরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির পাশাপাশি উপকূলে ঝড়ো হাওয়া বইছে। সাগরে থাকা মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।
এতে করে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকা কুতুবদিয়া ধলঘাটা মাতারবাড়ী সহ জেলার নিম্নাঞ্চলে জোয়ারের পানি ঢুকেছে।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে সামুদ্রিক জোয়ারের ঢেউয়ে সৈকতের বালিয়াড়ি আবারো ভাংগন দেখা দিয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে সাগরের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সৈকতে পানি অনেক উপরে চলে আসছে। সৈকতের লাবনী পয়েন্টে ভাংগন সবচেয়ে বেশি দেখা দিয়েছে। এ ছাড়াও সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট ডায়াবেটিস পয়েন্ট সীগাল পয়েন্ট কলাতলী পয়েন্ট হিমছড়ি ইনানী সোনারপাড়া সৈকতেও ভাংগন তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে সৈকতের ঝাউগাছ উপড়ে যাচ্ছে। বালিয়াড়ির ভাংগন সৈকতের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে পড়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সৈকতে ভাংগন রোধে তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।
এদিকে বৈরি আবহাওয়া ও সাগর উত্তাল থাকায় টেকনাফের সাথে সেন্টমার্টিন্স দ্বীপের নৌ যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান জানিয়েছেন, নিম্নচাপের প্রভাবে তিন নম্বর সিগনাল থাকায় গত রবিবার থেকে সেন্টমার্টিন্স দ্বীপের সাথে নৌ যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
অপর দিকে সাগর উত্তাল থাকায় কক্সবাজারে সৈকতে আসা পর্যটকদের গোসল করার সময় সতর্ক করছে লাইফ গার্ড কর্মীরা। কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম জানিয়েছেন, সাগর উত্তাল থাকার কারণে পর্যটকদের পানিতে নামতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যটকদের সচেতনতা অবলম্বনের জন্য বলা হচ্ছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সার্বক্ষণিক সজাগ রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।