শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌপথে আবারও লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল শুরু হয়েছে। তবে শুরুর দিনেই দেখা দিয়েছে যাত্রী সঙ্কট। অবশ্য কর্তৃপক্ষের আশা যাত্রী বাড়বে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে লঞ্চ ও স্পিডবোট চালুর ঘোষণা থাকলেও শিমুলিয়া থেকে ৭ জন যাত্রী নিয়ে প্রথম সকাল সোয়া দশটায় ছেড়ে যায় এম ভি ইয়ালিস। আর শরিয়তপুরের মাঝিরকান্দি থেকে ৮ জন যাত্রী নিয়ে সকাল পৌনে ১০ টায় ছাড়ে লঞ্চ এম এল মাসুদ খান। স্পিডবোটেও যাত্রীর সংকট প্রকট। ২৬ জুন থেকে স্বপ্নজয়ের পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে যাত্রী সঙ্কট দেখা দেয়। পরে আবার চ্যানেলে নাব্য সঙ্কটের কারণে ৯ জুলাই থেকে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
বিআইডব্লিউটিএ’র সহকারী পরিচালক মো. শাহাদাত হোসেন জানান, ২৬ জুন পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরু হবার পর এই নৌপথে যাত্রী সমাগম কমে যায়। প্রায় দু’মাস অচলাবস্থার পর আজ বৃহস্পতিবার থেকে আবার এই নৌপথে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল শুরু হয়েছে। তবে যাত্রী সমাগম কম। আমরা ৩০টি লঞ্চ ও ৪০টি স্পিডবোট দিয়ে নৌ-রুটটি সচল করছি।
তিনি আরও বলেন, শিমুলিয়া-ঢাকা রুটে বাস মাত্র ২৮টি। তাই বাস সার্ভিস বৃদ্ধি হলে কিছু যাত্রী বাড়বে।
এর আগে শিমুলিয়া থেকে পদ্মা পার হওয়ার জন্য ৮৭টি লঞ্চ থাকলেও এখন ২৩টি লঞ্চ মালিকরা অন্য রুটে চালানোর জন্য বিক্রি করে দিয়েছেন। ১৫৫টি স্পিডবোটের মধ্যে কাগজপত্র হালনাগাদ আছে প্রায় ৪০টির। তাই এই নৌরুটে ৩০টি লঞ্চ ও ৪০টি স্পিডবোট চলাচলের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চলবে সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।