কারাবাও কাপের ফাইনালের আগে ম্যাচ কর্মকর্তাদের বিশেষ আহ্বান জানিয়েছেন মাউরিসিও পচেত্তিনো। লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপকে উপরে তুলতে সাহায্যের জন্য চাপ অনুভব না করার অনুরোধ করেছেন। মূলত অলরেডদের বসের প্রতি আবেগপ্রবণ না হয়ে ন্যায্য সিদ্ধান্ত দিতেই চেলসি কোচের এমন অভিমত।
লিভারপুলের সঙ্গে ৮ বছরেরও বেশি সময়ের সম্পর্কের ইতি টানতে চলেছেন কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। ইতোমধ্যেই ক্লাব কর্তৃপক্ষকে নিজের সিদ্ধান্তে কথা জানিয়েছেন জার্মান এই কোচ। চলতি মৌসুমের পর এক বছর তিনি কোনো ক্লাব বা জাতীয় দলের কোচ হবেন না।
অ্যানফিল্ডে গত ৩১ জানুয়ারি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুলের বিপক্ষে ৪-১ গোলে পরাজিত হয় চেলসি। দ্বিতীয়ার্ধে ক্রিস্টোফার এনকুনকুকে ডি বক্সের ভেতর ফাউল করেও বেঁচে যান অলরেড ডিফেন্ডার ভার্জিল ফন ডাইক। বিষয়টি মোটেও ভালোভাবে নেননি পচেত্তিনো।
রোববার রাত ৯টায় কারাবাও কাপের ফাইনালে আবারো মুখোমুখি লিভারপুল-চেলসি। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী খেলার আগে তাই বুলজদের কোচের কন্ঠে কড়া বার্তা।
‘আমি মনে করি যা আমাদের নিশ্চিত হওয়া দরকার তা হল, আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছি এবং প্রতিটি সিদ্ধান্ত ন্যায্য হতে যাচ্ছে। যখন লিভারপুলের বিপক্ষে আমরা তাদের মাঠে খেলি, তখন অনেকগুলো সিদ্ধান্ত যা আমাদের পক্ষে ছিল না।’
‘দুটি পেনাল্টি আমাদের পক্ষে দেয়া হয়নি। অর্ধেক-অর্ধেক সুযোগগুলো অলরেডদের দিকে সবসময় গেছে। আমি ন্যায্য আচরণ চাই। অবশ্যই আমরা উদযাপন করতে চাচ্ছি।’
‘আমরা চেলসি, আমাদের সেখানে খেলতে যেতে ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। অবশ্যই যদি তারা আরও ভাল খেলে, তাদের অভিনন্দন জানাই। তবে প্রতিটি সিদ্ধান্তে ন্যায্য হওয়া উচিৎ।’
প্রতিপক্ষ দল ও কোচকে অবশ্য সম্মান কানাতে কার্পণ্য করেননি পচেত্তিনো। বললেন, ‘লিভারপুল একটি অসাধারণ ক্লাব। আমি ক্লপকে ভালোবাসি এবং তিনি যেভাবে আছেন, তা দারুণ।’