চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে চাঁদা দাবি, রুয়েট ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসা এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে চাঁদা দাবির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) এক ছাত্রলীগ নেতাসহ তিন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মতিহার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় আমরা তিন জনকে আটক করেছি। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ৩৪২, ৩৬৫, ৩৮৫, ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন, রুয়েট ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক শাহ আলম রাতুল (২৪), নূর মোহাম্মদ নাবিল (২৩) ও কামরান সিদ্দিক রাশেদ (২৩)। তারা তিন জনই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল অ্যান্ড ফুড প্রসেসিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী এবং শহীদ শহিদুল ইসলাম হলের বাসিন্দা।

অন্যদিকে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম নাজমুল হাসান। তিনি রাজশাহী ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার দিকে নাজমুল তার বান্ধবীকে নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইবলিশ চত্বর সংলগ্ন আমতলার পুকুর পাড়ে বসে গল্প করছিলেন। সেসময় দুটি মোটরসাইকেলে ঘটনাস্থলে আসেন রাতুল, নাবিল ও রাশেদ। তারা নাজমুলের কাছে পরিচয় জানতে চান। নাজমুল ক্যাম্পাসে ঘুরতে এসেছেন জানালে, ওই তিন জন নাজমুলের বান্ধবীকে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে চলে যেতে বলে।

বান্ধবী ভয়ে রিকশায় ক্যাম্পাস ত্যাগ করার পর ওই তিন জন নাজমুলকে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে রুয়েটে নিয়ে যান। সেখানে তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু নাজমুল চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অভিযুক্তরা তাকে মতিহার থানা সংলগ্ন সুইটের মোড়ে একটি গ্যারেজে নিয়ে যান।

সেখানে অজ্ঞাত আরও দুই ব্যক্তি তাদের সঙ্গে যুক্ত হন। তারা বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে। একপর্যায়ে নাজমুল বাধ্য হয়ে তার কয়েকজন বন্ধুকে টাকার জন্য ফোন করেন। কিন্তু অনেক সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও টাকা না পাঠানোয় নাজমুলকে পাইপ দিয়ে মারধর করে অভিযুক্তরা। পরে নাজমুল বাধ্য হয়ে তার বাবাকে কল করেন। এ সময় অভিযুক্তরা তার বাবার সঙ্গে কথা বলে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। এরই মধ্যে তার বন্ধুরা অপহরণের বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নাজমুলকে উদ্ধার করে এবং রাতুল, নাবিল ও রাশেদকে আটক করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মাহফুজুর রহমান তপু বলেন, অপহরণের ঘটনায় আমাদের ছাত্রলীগের এক নেতা জড়িত। আমরা ইতোমধ্যে তাকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দিয়েছি। এ ছাড়াও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে সুপারিশ করেছি স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য।

আটককৃতদের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

 

 

Labaid
BSH
Bellow Post-Green View