চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

রাজপথে বিএনপিকে মোকাবিলা করতে যুবলীগই যথেষ্ট: শেখ পরশ

রাজপথে বিএনপিকে মোকাবিলা করতে যুবলীগই যথেষ্ট বলে জানিয়েছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।

শুক্রবার ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগ আয়োজিত আগামী ১১ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে যুব মহাসমাবেশ সফল ও স্বার্থক করার লক্ষ্যে এক প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন: আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি জামায়াত গোটা বাংলাদেশে যে নৈরাজ্য ও সন্ত্রাস সৃষ্টি করছে তার জবাব যে যুবলীগ সংগঠন হিসাবে যেকোন সময় দেবার সক্ষমতা রাখে সেই প্রমাণ এই মহাসমাবেশের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাল্লাহ। এরই ধারাবাহিকতায় রাজপথে বিএনপিকে মোকাবিলা করতে যুবলীগই যথেষ্ট।

শেখ পরশ বলেন, চ্যালেঞ্জ এবং দাঁয়িত্ব কাঁধে নিয়ে আমাদের ১১ নভেম্বরের মহাসমাবেশ সফল করতে হবে। কারণ আমাদের উপলব্ধি করতে হবে যে, কোন প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুকন্যা যুবলীগকে এই মহাসমাবেশ আয়োজন করতে বলেছেন। কেন বলেছেন এবং কী উদ্দেশ্যে বলেছেন নিশ্চয়ই আপনারা অনুধাবন করতে পারবেন। কারণ স্বাধীনতা বিরোধীরা যেভাবে মাথাচাঁড়া দিয়ে উঠছে তাতে রাজনৈতিক শক্তি এবং সামর্থ্য প্রদর্শন করা এখন অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা ওদের সতর্ক করতে চাই যে ঐ স্বাধীনতা বিরোধীদের মোকাবেলার করার জন্য যুবলীগ একাই একশ। এছাড়া সারা দেশে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে চেতনা যারা লালন পালন এবং ধারণ করে তাদেরকে এই মহাসমাবেশ উৎসাহিত করবে এবং অনুপ্রেরণা দিবে। সুতরাং এই সময় আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার অপরিহার্য এবং অনস্বীকার্য।

তিনি আরো বলেন, ১১ নভেম্বর আপনাদের প্রিয় সংগঠন আওয়ামী যুবলীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সুবর্ণ জয়ন্তী। এক প্রকার কাঁকতালীয়ভাবে আমার জন্য পরম সৌভাগ্যেরও ব্যাপার যে যেই প্রতিষ্ঠানটি আমার পিতা, আপনাদের নেতা ও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, শেখ ফজলুল হক মণি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে গঠন করেছিলেন সেই গর্বিত সংগঠনটিকে এই সুবর্ণজয়ন্তীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আপনাদের সহযোদ্ধা হিসাবে আমার নেতৃত্ব দেবার সুযোগ হয়েছে।

এই সম্মান এবং সুযোগ পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে হাজারো শুকরিয়া। কারণ আপনারা জানেন স্বাধীনতার শত্রুরা যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও আপনাদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, শেখ মণিকে ১৫ আগস্ট হত্যা করেছিল, তারা কিন্তু ভিন্ন ভাবে পরিকল্পনা ও নীলনকশা  সাজিয়েছিল। তারা মনে করছিল যে, শেখ মণিসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের ১৮ জন সদস্যদেরকে হত্যার পর এই বাংলাদেশে আমরা আর উঠে দাঁড়াতে পারব না এবং এই বাংলার মাটিতে আওয়ামী লীগ বা যুবলীগ বলে কিছু থাকবে না।

কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে, তারা পরাজিত হয়েছে। এই সংগঠনে আপনাদের মতো লক্ষ্য লক্ষ্য নিবেদিত নেতা কর্মী অর্থাৎ আপনাদের আত্মত্যাগ, পরিশ্রম ও সমর্থনের কারণে খুনি ও স্বাধীনতা বিরোধীরা সফল হতে পারে নাই। যুবলীগের সুবর্ণজয়ন্তীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উৎসব যুবলীগের অগণিত নেতাকর্মীদের উৎসব। এই সংগঠনটিকে আপনারা এবং আপনাদের পূর্বসূরিরা পরম ভালবাসার সাথে লালন পালন করে শুধু জীবিত রেখেছে তা নয়, সর্ব বৃহৎ এবং সর্ব শক্তিশালী যুবসংগঠন হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। এই অর্জন আপনাদের কৃতিত্ব।

শেখ পরশ বলেন: এই সুবর্ণ জয়ন্তীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আপনাদের কৃতিত্বর প্রতীক। তাই আমি এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সকল আনন্দ, উৎসব এবং সাফল্য আপনাদেরকে উৎসর্গ করছি। যুবলীগের গর্বিত ইতিহাস আজকে আমরা যেই অর্জন ও সফলতা উদযাপন করতে যাচ্ছি সেই পথটা একবারেই মসৃণ ছিলনা। যুবলীগের নেতা-কর্মিরা অপরিসীম ও অবর্ণনীয় নির্যাতন ও নিপীড়েনর শিকার হয়েছে বিভিন্ন কর্তৃত্ববাদী ও মিলিটারি শাসকদের দ্বারা। তারপরও বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধু কন্যাকে ভালবেসে আপনারা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে লালান-পালন করে এই সাফল্যের দারপ্রান্তে নিয়ে এসেছেন।

সভায় বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ত্যাগী এবং কর্মীবান্ধব সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, যুবলীগের নেতা-কর্মিরা আদশের এই সংগঠনকে ভালোবাসে বলেই শেখ হাসিনার ডাকে রাজপথে নেমে আসে।