এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
আইপিএলের প্রায় সব ম্যাচের রানের ফোয়ারার দেখা মিলছে। আড়াইশর অধিক দলীয় স্কোর পাওয়াটা হয়ে উঠছে নিয়মিত ঘটনা। অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দর্শকরা আবারো দেখল সেই কাণ্ড। আরেকটি পাঁচ শতাধিক রানের ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ১০ রানে জিতল দিল্লি ক্যাপিটালস।
শনিবার বিকেলে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দিল্লি ৪ উইকেটে ২৫৭ রান তোলে। জবাবে মুম্বাই ৯ উইকেটে ২৪৭ রানেই থামে।
এ জয়ের ফলে ১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে এক ধাপ এগিয়ে টেবিলের পাঁচ নম্বরে উঠল দিল্লি। নবম স্থানে পড়ে থাকা মুম্বাইয়ের ৯ ম্যাচে সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট।
পাওয়ার প্লের ছয় ওভারেই উইকেট না খুইয়ে ৯২ রান তুলে ফেলে দিল্লি। একাই ৭৮ রান করেন বাইশ গজে ঝড় তোলা জেক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক। বিধ্বংসী ইনিংস খেলে এই অজি ব্যাটার মাত্র ১৫ বলেই ফিফটির দেখা পান। চলতি আসরেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষেও ১৫ বলে তিনি ফিফটি হাঁকিয়েছিলেন।
১১ চার ও ৬ ছক্কায় ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক খেলেছেন ২৭ বলে ৮৪ রানের ইনিংস। পীযুষ চাওলার বলে ডিপ মিডউইকেটে মোহাম্মদ নবির হাতে ধরা পড়লে সাজঘরে ফেরেন। এর আগে অভিষেক পোড়েলের সঙ্গে গড়েন ১১৪ রানের উদ্বোধনী জুটি। পরে ২৭ বলে ৩৬ রানে নবির বলে পোড়েল স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন।
ক্রিজে নেমেই আগ্রাসী হন শাই হোপ। ১৭ বলে ৫ ছক্কায় খেলেন ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস। অধিনায়ক রিশভ পান্ট করেন ১৯ বলে ২৯ রান। শেষদিকে ত্রিস্টান স্টাবসের ২৫ বলে ৬ চার ও ২ ছপক্কায় অপরাজিত ৪৮ রানের ইনিংসের ফলে আড়াইশ পেরিয়ে যায় দিল্লি।
বল হাতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে একটি করে উইকেট পান জাসপ্রীত বুমরাহ, পীযুষ চাওলা, মোহাম্মদ নবি ও মার্ক উড। সবচেয়ে খরুচে উড ৪ ওভারে দেন ৬৮ রান।
বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম ৬ ওভারে ৬৫ রান তুললেও ৩ উইকেট হারায় মুম্বাই। মাত্র ৮ রানে সাজঘরে ফেরেন রোহিত শর্মা। ঈশান কিষাণ ২০ রানের বেশি নিতে পারেননি। ১৩ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৬ রানে থামেন সূর্যকুমার যাদব।
হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে ৭১ রান যোগ করেন তিলক ভার্মা। ২৪ বলে ৪টি চার ও ৩ ছক্কায় ৪৬ রানে আউট হন হার্দিক। তাকে দ্রুত অনুসরণ করেন নেহাল ওয়াধেরা।
টিম ডেভিডকে নিয়ে জয়ের আশায় ছুটতে থাকেন তিলক। দুজনে মিলে গড়েন ৭০ রানের জুটি। ডেভিড ১৭ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৭ রানে মুকেশ কুমারের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়লে জুটি ভাঙে। মুম্বাইয়ের তখন জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৪ বলে ৪৮ রান। রাসিখ সালামের করা ১৯তম ওভারে মুম্বাই ১৬ রান নিলেও হারায় নবির উইকেট। অতিথিদের সামনে জয়ের সমীকরণ দাঁড়ায় ৬ বলে ২৫ রান।
বল হাতে শেষ ওভারটি করার জন্য আসেন মুকেশ। প্রথম বলেই রান আউট হন তিলক। দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে সঠিক সময়ে ক্রিজের ভেতর যেতে পারেননি ৩২ বলে ৪টি চার ও ৪ ছক্কায় ৬৩ রান করা এ ব্যাটার। পরের বলে ক্যাচ দিয়েও বাঁচেন উড, নেন দুই রান। তৃতীয় বলে উড হাঁকান ছক্কা। পরের বলে এক রানের বেশি নিতে পারেননি। তাতে ২ বলে ১৫ রানের জয়ের অসম্ভব সমীকরণ দাঁড়ায়। মুকেশের পঞ্চম বলে বাউন্ডারি মারেন চাওলা। ম্যাচের শেষ বলে চাওলা ক্যাচ দিলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দিল্লি।