টানা তৃতীয় আসরে বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টে শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে ফাইনাল সেরার পাশাপাশি আসরের সেরা ক্যাচারের পুরস্কারও জিতেছেন অধিনায়ক তুহিন তরফদার। পরে জানালেন, এশিয়ান গেমসে কাবাডিতে ১৩ বছরের পদক খরা ঘোচানোর দৃঢ় সংকল্পের কথা।
সবশেষ ২০১০ এশিয়ান গেমসে পদক এনেছিল কাবাডি। ভারতের পর ছিল বাংলাদেশের অবস্থান। পরে অনেক দল উঠে এসেছে। জাতীয় খেলা হওয়ার পরও র্যাঙ্কিংয়ে এখন বাংলাদেশের অবস্থান পাঁচে।
ফাইনাল শেষে তুহিনের কাছে এ ব্যাপারে প্রশ্ন যায়। মাঝে যারা কাবাডি ফেডারেশনের দায়িত্বে ছিলেন, তারা পর্যাপ্ত স্পন্সর পেতেন না বলে জানালেন বাংলাদেশ দলের কাপ্তান। তবে ফেডারেশনে বর্তমানে দায়িত্বে থাকা কর্তাদের প্রতি রাখলেন অগাধ আস্থা।
‘আমাদের আইজিপি মহোদয় ফেডারেশনের বর্তমান সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন স্যারের নেতৃত্বে হাবিবুর রহমান স্যার, মোজাম্মেল স্যারের নেতৃত্বে কাবাডিতে যে সাড়া পড়েছে এবং মিডিয়া কভার করছে, স্পন্সররা আসছে, এটা অনেক আগে দরকার ছিল।’
‘কোরিয়া, পাকিস্তান, ইরান বলেন তারা অনেক আগ থেকে প্রো-কাবাডিতে সুযোগ পেয়েছে। ভারতে থেকে নার্সিংয়ের সুযোগ পাচ্ছে। আমরাও প্রো-কাবাডিতে অংশ নিচ্ছি। সেটা ব্যাপকভাবে নয়। আমাদের ফেডারেশনের সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান স্যার আশ্বস্ত করেছেন ঈদের পর ভারতে সিনিয়র-জুনিয়র খেলোয়াড়দের নিয়ে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করবেন। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে আমরা টুর্নামেন্ট খেলব।’
‘যদি আমরা টুর্নামেন্টগুলো খেলতে পারি এবং প্লেয়ারদের ঝালানোর সুযোগ পাই। তাহলে এশিয়ান গেমসে ভালো একটা পদক বলছি না, গোল্ডই পাবো। তবে একটা না একটা পদক নিয়ে বাড়ি ফিরব।’
সুন্দর একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করার জন্য কাবাডি ফেডারেশনকে তুহিন জানালেন কৃতজ্ঞতা। কয়েকজন খেলোয়াড়ের ইনজুরি যে দলকে চিন্তায় ফেলেছিল, সেটিও স্মরণ করিয়ে দিলেন।
‘খেলা না থাকলে আসলে খেলোয়াড়দের কোন মূল্য নেই। এই দলে যারা ছিলেন সকলকে ধন্যবাদ জানাই। সবাই মিলে আমাকে সহযোগিতা না করলে এত বড় সাফল্য আসতো না। তারুণ্যে গতিই আলাদা। ৬ জন খেলোয়াড় ইনজুরির কারণে শুরুতেই মাঠের বাইরে ছিল। খুব টেনশনে পড়ে গিয়েছিলাম। নতুন খেলোয়াড়দের নিয়ে কীভাবে ম্যাচগুলো ওভারকাম করব এই ভাবনায় ছিলাম।’
‘তরুণদের যাকে যেভাবে বলেছি তারা সেভাবেই খেলেছে। আমাদের কোচরা যে দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন, সেগুলো প্লেয়ারদের বুঝিয়ে মাঠে সেটা বাস্তবায়ন করার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। টোটাল টুর্নামেন্টে আমরা টানা জয় পেয়ে চ্যাম্পিয়নশিপ অর্জন করেছি। তৃতীয়বারের মতো আমার নেতৃত্বে দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। দলের অধিনায়ক হিসেবে আমি খুব আনন্দিত, গর্বিত।’
‘মিডিয়াকেও ধন্যবাদ আমাদের উৎসাহিত করতে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। মিডিয়ার মাধ্যমে আমাদের জাতীয় খেলা কাবাডিকে সবাই আরও ভালোভাবে জানতে পারছে। প্রচার-প্রসার বেড়েছে। আমরা এশিয়ান পর্যায়ে, বিশ্বকাপ থেকে ট্রফি এনে দিতে চাই।’