মেয়েদের পর ছেলেদেরও ভবিষ্যৎ সফরসূচি পরিকল্পনা (এফটিপি) প্রকাশ করেছে আইসিসি। ভারত, অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে সিরিজ থাকলেও ইংল্যান্ড এবারও আগের পথ অনুসরণ করছে। ইংলিশরা টাইগার ডেরায় আসবে ঠিকই কিন্তু নিজ দেশে তারা বাংলাদেশকে আতিথেয়তা দেবে না।
২০২৩ থেকে ২০২৭ সালের জন্য করা এই চক্রে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজে বাংলাদেশ খেলবে ৩৭ টেস্ট, ৬৮ ওয়ানডে ও ৬৩ টি-টুয়েন্টি। ম্যাচ সংখ্যার দিকে তাকিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী। ইংল্যান্ড কেন ডাকল না তুলে ধরলেন সে বাস্তবতা।
বুধবার দুপুরে আইসিসি এফটিপি প্রকাশ করার পর তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় বিসিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘নাম্বার অফ ম্যাচ অনুযায়ী কিন্তু আমরা চারে বা পাঁচে আছি। আমাদের জন্য খুবই ব্যস্ত সূচি। ব্যাক টু ব্যাক অনেক সিরিজ আছে। এজন্য আমাদের লজিস্টিক্যাল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। সব কিছু বিবেচনা করেই আমাদের জন্য যতটুকু সম্ভব হয়েছে ততটুকু পেয়েছি। আমাদের আইসিসিতে একটা দাবি ছিল, আমরা বেশি ম্যাচ খেলতে চাই। কম ম্যাচ খেলা থেকে আমরা বের হয়ে আসতে পেরেছি। আগে যেমন একটা গ্যাপ থাকত একটা থেকে আরেকটা সিরিজের মাঝে। এখন ভারসাম্যপূর্ণ হয়েছে।’
‘গত এফিটিপিতে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেলা ছিল না। এবার একটা (অস্ট্রেলিয়া) কনর্ফাম করেছি। এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আস্তে আস্তে এগোচ্ছি। চেষ্টা থাকবে যে দেশগুলোতে সফর আগে ছিল না সে দেশগুলোতে করা। ইংল্যান্ড ছাড়া সব দেশগুলোর সঙ্গে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে সিরিজ আছে। একটা বিষয় আমাদের মনে রাখতে হবে বড় দেশগুলোর সঙ্গে সবাই খেলতে চায়, শুধু বাংলাদেশ না। একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সবাইকে প্রতিশ্রুতি দেওয়াও সম্ভব সে বিষয়গুলো মাথায় রেখে আমরা চেষ্টা করছি। যতটুকু পেরেছি তাতে মনে করি যে, এখন যে ম্যাচ ডে বা ম্যাচ সংখ্যা আছে তা যথেষ্ট আমাদের প্রেক্ষাপটে।’
‘আমাদের খেলোয়াড়দের ওয়ার্ক লোডও চিন্তা করতে হবে। চাইলেই বা পেলেই তো নেওয়া যাবে না। তাছাড়াও গেম ডেভলপ করে। কোনো বড় ইভেন্টের আগে হয়তো কিছু দ্বিপাক্ষিক বা ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট হয়, এগুলোর জন্য সময় বের করতে হয়। আইসিসি ইভেন্ট, এশিয়া কাপও রয়েছে। কতটুকু আমরা গ্রিপে রেখে ঠিকভাবে অংশ নিতে পারব সেটিও দেখতে হবে।’-বলেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী।