ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো দেশের ইতিহাসে মানবধিকার লঙ্ঘনের কথা স্বীকার করেছেন। এছাড়াও তিনি এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না বলেও অঙ্গিকার করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিবিসির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এসময় প্রেসিডেন্ট ১২টি ঘটনার কথা উল্লেখ করে মানবধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেন। যার মধ্যে একটি কমিউনিস্ট-বিরোধী আন্দোলনসহ শীতল যুদ্ধের ঘটনা রয়েছে। এছাড়া গণহত্যায় প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উইডোডো ইন্দোনেশিয়ার দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট। সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুর রহমান ওয়াহিদ ২০০০ সালে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার পর ১৯৬০ সালের রক্তপাতের সে কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করলেন উইডোডো।
কমিউনিস্ট, সামরিক বাহিনী এবং ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ক্ষমতার লড়াইয়ের মধ্যে একটি অভ্যুত্থান হয়। যেখানে ছয় জেনারেলকে হত্যার অভিযোগে কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়েছিল।
বুধবার জাকার্তায় রাষ্ট্রপতি ভবনের বাইরে এক সংবাদ সম্মেলনে উইডোডো বলেন, ‘আমি আন্তরিকতার সাথে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে স্বীকার করছি যে, এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে।’
প্রেসিডেন্ট উইডোডো ১৯৬৫ থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে ঘটা মানবাধিকার লঙ্ঘনের উদ্ধৃতি দিয়ে এই দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে ১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট সুহার্তোর সময়ে গণবিক্ষোভ থেকে গণতান্ত্রিক কর্মীদের অপহরণের বিষয়টিও রয়েছে। ধারণা করা হয়, ৬০-এর দশক থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ায় অন্তত ৫ লাখ মানুষ হত্যার শিকার হয়েছে।
এমন ঘটনার জন্য তিনি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন। এছাড়া ভবিষ্যতে আর কখনো যাতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করার জন্য তিনি আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবেন বলেও জানান।
এছাড়াও গতকালের সংবাদ সম্মেলনে উইডোডো পাপুয়া অঞ্চলে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টিও তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, ‘পাপুয়া নিউগিনির সীমান্তবর্তী পূর্বাঞ্চলে দীর্ঘকাল ধরে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন চলছে। একই সঙ্গে সুমাত্রা দ্বীপের উত্তরে আচেহ প্রদেশেও বিদ্রোহ চলছে। এসব অঞ্চলেও মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।’