ভারতের গুরুগ্রামে নতুন বছরের শুরুতেই ঘটে গেছে নৃশংস এক ঘটনা! নৃশংস খুনের শিকার হলেন ২৭ বছর বয়সী এক নামি মডেল। তার নাম দিব্যা পাহুজা। এক হোটেল মালিককের বিরুদ্ধে তার খুনের অভিযোগ উঠে এসেছে। ঘটনার তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পুলিশ জানিয়েছে, পাঞ্জাবি এই মডেলের দেহ পাচারের জন্য এক সহযোগীকে প্রায় ১০ লাখ টাকা দেন অভিযুক্ত। গুরুগ্রামের পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত শুরু করে দিয়েছেন।
মূল ঘটনার আগে হোটেলের ঘরে হোটেল মালিক ও তার সঙ্গে এক পুরুষ ও এক নারীর দেখা মিলেছিল। ২ জানুয়ারির ঘটনা এটি। আর তারপরই খুন হন ওই মডেল। খুনের পর হোটেল থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় মডেলের মরদেহ। তারপর তোলা হয় বিএমডাব্লিউতে। এই সম্পূর্ণ ঘটনাটি ধরা পড়ে সিসিটিভি ফুটেজে।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। পাঞ্জাবের বিভিন্ন জায়গায় চালানো হয়েছে তল্লাশি। তারপর তারা মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারও করেন। সেই সঙ্গে আরো দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে কুখ্যাত গ্যাংস্টার সন্দীপের সঙ্গে নাকি সদ্য খুনের শিকার মডেলের সম্পর্ক ছিল। ২০১৬ সালে মুম্বাইয়ে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় ওই গ্যাংস্টারের। এই ঘটনার পর নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই চিন্তিত হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন দিব্যা পাহুজার পরিবার। তার মা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান, ওই মৃত গ্যাংস্টারের ভাই-বোন ও অভিযুক্তর নামে। তিনি তখন জানান তার মেয়েকে নাকি খুনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
সেই সময় থেকেই পাঞ্জাবি ওই মডেলের উপর রাগ ছিলো অভিযুক্তের। সে ঘটনার বেশ কয়েক বছর পর খুন হলেন মডেল দিব্যা পাহুজা। ওই গ্যাংস্টারের এনকাউন্টারে মৃত্যুতে দিব্যার বিরুদ্ধেই নাকি মূল অভিযোগ ছিল। তবে গত বছরই আদালত থেকে জামিন পান তিনি। কিন্তু নতুন বছরেই তাকে খুন হতে হল।
যদিও মডেলের মরদেহ কোথায়, তা এখনো খুঁজে পায়নি পুলিশ। তারা জানিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে অভিযুক্তকে দিব্যার দেহ ট্রাঙ্কে রেখে হোটেল থেকে গাড়িতে করে পালিয়ে যেতে দেখা যায়। একজন সিনিয়র পুলিশ অফিসার জানান যে অভিজিৎ হোটেল থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে বলরাজ গিল ওরফে হেমরাজের (২৮) কাছে গাড়িটি তুলে দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গুরুগ্রাম পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে যে বিএমডব্লিউ গাড়িটি পাঞ্জাবের পাতিয়ালার একটি বাস স্ট্যান্ডে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে, যদিও প্রাক্তন মডেলের মৃতদেহ এখনও উদ্ধার করা হয়নি।