চোট কাটিয়ে ফিরে নিজের চেনা রূপটা দেখাতে পারছিলেন না ম্যানচেস্টার সিটির আর্লিং হালান্ড। ছন্দে ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন ম্যানচেস্টার সিটির তারকা। নিজের জাতটা আবারও নতুন করে চেনালেন এই নরওয়েজিয়ান। এফএ কাপের ম্যাচে ঝড় তুলে একাই করলেন পাঁচ গোল। আসরের পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচে লুটন টাউনের বিপক্ষে ৬-২ গোলের বিশাল জয় পেয়েছে পেপ গার্দিওলার দল। ম্যাচ শেষে হালান্ড জানালেন, এমন আরও আক্রমণের জন্য তিনি প্রস্তুত।
কেনিলওয়ার্থ রোড স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে লুটন টাউনের বিপক্ষে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে ম্যানসিটি। ১৯৭০ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে জর্জ বেস্টের ৬ গোলের পর এই প্রথম এফএ কাপে এক ম্যাচে এত সংখ্যক গোল করেলেন হালান্ড।
সিটির হয়ে দেড় মৌসুম খেলে হালান্ডের এটি অষ্টম হ্যাটট্রিক। তবে প্রতিপক্ষের মাঠে এই স্বাদ পেলেন প্রথমবার। ম্যানসিটির জার্সিতে এক ম্যাচে ৫ গোল করলেন দ্বিতীয়বার। গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আরবি লেইপজিগের বিপক্ষেও করেছিলেন ৫ গোল। সিটির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৮৩ ম্যাচে ৭৯ গোল করেছেন ২৩ বর্ষী ফুটবলার।
ম্যাচ শেষে হালান্ড বলেন, ‘আমার সেরাটা ফিরে পাচ্ছি। অবশেষে দারুণ অনুভব করছি এবং সেটি ভিন্ন এক অনুভূতি। আমরা আসছি, স্বরূপে ফিরে আসছি। সামনের সময়টা আমাদের জন্য খুব রোমাঞ্চকর হতে চলেছে। আরও আক্রমণের জন্য আমরা প্রস্তুত।’
গত মৌসুমে ম্যানসিটির অসাধারণ সাফল্য ও অপ্রতিরোধ্য পারফরম্যান্সের মূলে ছিল কেভিন ডি ব্রুইনের সঙ্গে হলান্ডের রসায়ন। এবার হালান্ড যেমন চোটের কারণে বেশ কিছুদিন মাঠের বাইরে ছিলেন, ডি ব্রুইনেও তেমনি বাইরে ছিলেন লম্বা সময়। লুটন টাউনের বিপক্ষে আবারও দেখা গেল সেই জুটির নৈপুণ্য। হালান্ডের ৫ গোলের মধ্যে চারটিতেই সহায়তা করেছেন ৩২ বর্ষী বেলজিয়ান মিডফিল্ডার।
সতীর্থকে নিয়ে হালান্ডের ভাষ্য, ‘কেভিন ডি ব্রুইনে অসাধারণ। সেটাই করছে, যেটা সে সবচেয়ে ভালো পারে। তার সঙ্গে খেলতে পারাটা সন্তুষ্টির ব্যাপার। আমরা খুব ভালো করেই জানি একজন আরেকজনের কাছ থেকে কী চাই। আমরা একে অপরের দিকে তাকাই এবং খুব ভালোভাবে জুটি জমে ওঠে।’