চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

প্রিন্স হ্যারি ও মেগানকে দেওয়া রানির উপহার ফিরিয়ে নিচ্ছে রাজপরিবার

ব্রিটিশ রাজপুত্র হ্যারি এবং তার স্ত্রী মেগান দম্পতির এক মুখপাত্র সম্প্রতি নিশ্চিত করেছেন সাসেক্সের ডিউক এবং ডাচেসকে তাদের ফ্রগমোর কটেজ খালি করতে হবে। ফ্রগমোর কটেজ বার্কশায়ারের উইন্ডসর ক্যাসেলের মাঠে ১০ সজ্জা কক্ষ এবং গ্রেড ২ হিসেবে তালিকাভুক্ত সম্পত্তি। এটি প্রয়াত রানীর পক্ষ থেকে রাজকীয় দম্পতির জন্য একটি উপহার ছিল।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

ডিউক এবং ডাচেস এখন তাদের দুই সন্তান আর্চি এবং লিলিবেটের সাথে ক্যালিফোর্নিয়ায় থাকেন। তারা ২০২০ সালে রাজপরিবারের সদস্য হিসাবে জীবন ছেড়ে যুক্তরাজ্য ত্যাগ করেন।

প্রিন্স হ্যারি এবং মেগান ২০১৮-১৯ সালে আনুমানিক ২ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে ক্রাউন এস্টেটের মালিকানাধীন সম্পত্তিটি সংস্কার করেছেন।

জানুয়ারি মাসে প্রিন্স হ্যারি তার ‘এক্সপ্লসিভ মেমোয়ার’ বই প্রকাশের কয়েকদিন পর বাকিংহাম প্যালেস থেকে ডিউক দম্পতিকে সম্পত্তি ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছিল।

প্রিন্স হ্যারির প্রকাশিত বইটি ১৯৯৮ সালের পর যুক্তরাজ্যে সবচেয়ে দ্রুত বিক্রি হওয়া নন-ফিকশন বই হয়ে উঠেছে। বইতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রিন্স হ্যারি তার ভাই দ্বারা শারীরিকভাবে আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। তার ভাই তাদের বাবাকে অনুরোধ করেছিলেন ক্যামিলাকে বিয়ে না করার জন্য।

কটেজটির একটি সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময় ইতিহাস রয়েছে। দ্বিতীয় রাজা জর্জ এর স্ত্রী রানী শার্লট ১৭৯২ সালে তার এবং তার কন্যাদের আদালত থেকে পালানোর জায়গা হিসাবে এটি তৈরি করেছিলেন। সেই সময়ে ধনীদের কাছে আদর্শ গ্রামীণ বাড়ির ছদ্মবেশে বড় বাড়ি তৈরি করার প্রচলন ছিল।

১৯১৮ সালে বলশেভিকদের দ্বারা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হত্যার পর দ্বিতীয় জার নিকোলাস এর জীবিত আত্মীয়রাও যুক্তরাজ্যে পালিয়ে যাওয়ার পরে সেখানে বসবাস করতেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে, প্রিন্স হ্যারি এবং মেগানের প্রবেশের আগে বাড়িটি রাজকীয় পরিবারের কর্মীদের জন্য একটি বাড়ি হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল বলে মনে করা হয়।