চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

নারী রেফারিকে ঘুষি মেরে গ্রেপ্তার আর্জেন্টাইন ফুটবলার

সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষে আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্সের ট্রেস অ্যারোয়েসে চলছিল একটি অপেশাদার ম্যাচ। অংশ নেয় স্থানীয় দুই দল গার্মেন্স-দেপোর্তিভো ইন্ডিপেন্ডেনসিয়ার। সেই ম্যাচটিই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ম্যাচ পরিচালনা করছিলে একজন নারী রেফারি। তিনি গার্মেন্স ফুটবলার ক্রিস্টিয়ান তিরোনকে হলুদ কার্ড দেখান। তারপর বাধে বিপত্তি। মাঠে কিল-ঘুষি তো দেখা গেছেই, অপ্রীতিকর ঘটনা গড়িয়েছে গ্রেপ্তার পর্যন্ত।

ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন রেফারি ডালমা মাগালি কর্তাডি, যিনি দেপোর্তিভো ফুটবলারকে অবৈধভাবে বাধা দেয়ায় তিরোনকে হলুদ কার্ড দেখান। যা সহজভাবে নিতে পারেননি তিরোন। দৌড়ে এসে পেছন থেকে কার্তাডির মাথায় ঘুষি বসিয়ে দেন। কার্তাডিকে হাসপাতালে পর্যন্ত নিতে হয়েছে।

সেই ঘটনার পর আর ম্যাচ চালানো যায়নি। রেফারি অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ম্যাচ স্থগিত করা হয়। পুলিশ এসে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে তিরোনকে গ্রেপ্তার করে। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে ফিরে কার্তাডি সেই ফুটবলারকে আজীবন ফুটবল খেলা থেকে নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানান।

‘তাকে চিরতরে বের করে দিতে হবে। তার কখনই কোনো ক্লাবে থাকা উচিত নয়। তিনি একজন হিংস্র ব্যক্তি। আমি ভিডিওতে দেখেছি, এই লোকটি যা করেছে একজন সাধারণ মানুষ তা করে না। আমরা মার খাওয়ার জন্য মাঠে যাই না। আশা করি সে যা করেছে তার জন্য মূল্য দিতে হবে।’

ঘটনার পর গার্মেন্স একটি বিবৃতিতে তিরোনের কর্মের জন্য তাচ্ছিল্য প্রকাশ করেছে, ‘আমরা আক্রমণের শিকার রেফারির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি। আগামীতে এ ধরনের সহিংসতা নির্মূল করার জন্য কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। ক্রীড়াবিদদের যেমন মূল্যবোধের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়; শৃঙ্খলা-বন্ধুত্ব-প্রতিশ্রুতি, সর্বোপরি সম্মান এবং সহনশীলতার জন্য আমরাও ফুটবলারদের শিক্ষা দেয়ার চেষ্টা করব।’