নাটকীয় সিরিজের শেষ ম্যাচটাও দুলেছে পেন্ডুলামের মতো। কখনও নিউজিল্যান্ড এগিয়েছে, কখনও অস্ট্রেলিয়া। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষ হাসিটা অ্যারন ফিঞ্চের দলের। তাতে ওয়ানডে ক্রিকেটকে অধিনায়কের বিদায়ী ম্যাচে জয় উপহার দিতে ভুল করেননি সতীর্থরা। তিন ম্যাচের সবগুলোতে জিতে কিউইদের হোয়াইটওয়াশ করেছে অজি দল।
কেয়ার্নসে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে রোববার নিউজিল্যান্ডকে ২৫ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অজিদের হয়ে ১০৫ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলেছেন স্টিভেন স্মিথ।
আগের দুম্যাচের মতো এদিনও টস জিতে শুরুতে ফিল্ডিং নেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। কাপ্তানের সিদ্ধান্তের মান রেখেছেন অভিজ্ঞ ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদি। প্রথম ১০ ওভারে অজি ব্যাটারদের রীতিমতো ঘাম ঝরিয়েছেন দুই পেসার।
ডেভিড ওয়ার্নারের বদলি হিসেবে সুযোগ পাওয়া জশ ইংলিশকে ফিরিয়ে প্রথম উইকেট এনে দেন বোল্ট। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে সাউদির বলে বোল্ড হয়েছেন ম্যাচ শেষেই সাবেক বনে যাওয়া ফিঞ্চ। করেছেন ১২ বলে ৫ রান। প্রথম দশ ওভারে অজিদের স্কোরবোর্ডে যোগ হয় মাত্র ১৯ রান।
স্বাগতিকদের ঘুরে দাঁড়ানোর শুরুটা তৃতীয় উইকেট জুটিতে। ধীর গতিতে ব্যাটিংয়ে ১১৮ রান যোগ করে মোড় ঘুরিয়ে দেন স্টিভেন স্মিথ ও মার্নাস লাবুশেন। ৫২ রান করে লাবুশেন আউট হলেও অ্যালেক্স ক্যারিকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান স্মিথ। ১১ চার ও এক ছয়ে ১০৫ রান করে স্মিথ ফেরেন স্যান্টনারের শিকার হয়ে।
৮ বলে ১৪ রানের ইনিংস খেলে বোল্টের শিকার হন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। শেষদিকে ক্যারি ও গ্রিনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২৬৭ রানে থামে অজিদের ইনিংস।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৪৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। দারুণ ছন্দে থাকা ফিন অ্যালেন ফেরেন ৮ রানের ব্যবধানে। ১০ রানে টম ল্যাথামকে ফেরান অ্যাডাম জাম্পা। ভালো শুরু পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি উইলিয়ামসন। রান আউট হয়ে ফিরেছেন ২৭ রানে।
১১২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলা কিউইদের লড়াইটা তখনও শেষ নয়। ষষ্ঠ উইকেটে ৬১ রানের জুটি গড়েন গ্লেন ফিলিপস ও জিমি নিশাম। ৩৪ বলে ৩৬ রান করে নিশাম আউট হলে স্যান্টনারকে সাথে নিয়ে লড়াই বাঁচিয়ে রাখেন ফিলিপস।
৫৩ বলে ৪৭ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে ফিলিপস ফিরলে লড়াইটা অসম্ভব হয়ে যায় কিউইদের। ২৪২ রানে থামে তাদের ইনিংস।