চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এনে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখা প্রাধান্য পাবে’

ব্যাপক কর্মসৃজন ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এনে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখা এবারের বাজেটে প্রাধান্য পাবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে পেশকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে তিনি বাজেট পেশ শুরু করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন: আমাদের অর্থনীতির প্রাণশক্তি হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি এবং দৃঢ় ও সাহসী নেতৃত্ব। সংগত কারণেই কোভিড-১৯ ও ইউক্রেন যুদ্ধ উদ্ভূত অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবেলা করে দেশের সর্বস্তরের জনগণের জীবন-জীবিকা এবং সর্বোপরি ব্যাপক কর্মসৃজন ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এনে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখা এবারের বাজেটে প্রাধান্য পাবে।

তিনি আরও বলেন: বিগত দুই অর্থবছরে আমরা যেভাবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে করোনা মোকাবেলা করে দেশের অর্থনীতিকে মূল গতিধারায় ফিরিয়ে নিয়ে এসেছিলাম, অনুরূপভাবে আগামী অর্থবছরেও ইউক্রেন সংকট উদ্ভূত বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবেলা করে দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণ রাখবো।

আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির হার ৭.৫ শতাংশে নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।

এর আগে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট উত্থাপনের জন্য অনুমোদন পেয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট পেশকে সামনে রেখে দুপুরে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে ওই বৈঠকে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন পায়।

বৈশ্বিক ঝুঁকি কাটিয়ে অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষার পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রেখে জনজীবনে স্বস্তি ফেরানো এবারের বাজেটের প্রধানতম লক্ষ্য। ইতোমধ্যে সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রস্তাবিত বাজেটে সরকার মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতির নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা থাকবে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।

এবারের দেশের ৫১তম এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৩তম বাজেট।