ইংল্যান্ড ফুটবল দলের সাবেক কোচ সভেন গোরান এরিকসনের ক্যান্সার ধরা পড়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর পর তিনি জানিয়েছেন, খুব বেশি হলে একবছর বাঁচবেন। সুইডিশ এ কোচ ইংল্যান্ডকে কোচিং করানো প্রথম বিদেশি ম্যানেজার, যিনি ২০০২ ও ২০০৬ বিশ্বকাপে দলটিকে কোয়ার্টার ফাইনালে তুলেছিলেন।
এরিকসন সুইডেনের রেডিও পিওয়ানকে বলেছেন, ‘আমি ততক্ষণ পর্যন্ত লড়ে যাবো, যতক্ষণ পর্যন্ত সম্ভব। আমার শরীরে একটি রোগ আছে যা বেশ মারাত্মক। বড়জোর একবছর, তার কমও হতে পারে। নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না, সুতরাং সে সম্পর্কে না ভাবাই ভালো।’
‘আমি খুব সাধারণ জীবন-যাপন করি। আপাতত হাসপাতালে নেই, প্রায়ই সেখানে যাই, কিন্তু বাড়িতে বন্ধু-বান্ধব নিয়েই থাকি। ক্রিসমাস এবং নিউ ইয়ারে পুরো পরিবার এখানে ছিল, অনেক মানুষ। আমি বাইরে যাই, যতটা সম্ভব অনুশীলন করি। তবে গতবছরের চেয়ে সেটা কমেছে, কিন্তু আমি স্বাভাবিক জীবনে আছি।’
‘যখন আপনি এধরনের একটি বার্তা পাবেন, প্রতিটি দিনের জন্য কৃতজ্ঞ হবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে খুশি হবেন এবং মনে হবে সব ঠিক আছে, এমন জীবনই যাচ্ছে আমার। একদিন পরীক্ষা করানোর পর ডাক্তার আমাকে জানান পাঁচটি ছোট ছোট স্ট্রোক হয়েছে, কিন্তু চিন্তার কিছু নেই। আমি সেগুলো থেকে শতভাগ সুস্থ। কিন্তু ভয়ের বিষয় হল, আমার ক্যান্সার হয়েছে, যা তাদের সাধ্যের বাইরে। তারা আমাকে বলেছে যতদিন সম্ভব চিকিৎসা এবং ঔষধ দিয়ে বাঁচিয়ে রাখবে।’ ৭৫ বর্ষী এরিকসন এভাবেই জানান চলতি জীবনের কথা।
এরিকসন ক্যারিয়ার শুরু করেন ১৯৭৭ সালে, সুইডেনের ক্লাব ডেগেরফোর্সের কোচ হিসেবে। পরে গুটেনবার্গে গিয়ে লিগ শিরোপা, দুটি সুইডিশ কাপ এবং ১৯৮১ সালে উয়েফা কাপ জেতেন। এরপর যান পর্তুগাল জায়ান্ট বেনফিকা, ইতালির রোমা, ফিওরেন্তিনা, সাম্পদোরিয়া এবং লাজিওতে।
এ যাত্রায় সাতটি শিরোপা জেতেন। যার মধ্যে সিরি আ, দুটো ইতালিয়ান কাপ এবং উয়েফা কাপ, উইনার’স কাপ। ২০০১ সালের জানুয়ারিতে কেভিন কিগানের উত্তরসূরি হিসেবে ইংল্যান্ডে দায়িত্ব নেন। পাঁচ বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০০৬ সালে দুই বছর চুক্তি থাকার পরও পদ ছেড়ে দেন। কিন্তু সেসময় তার কোনো ব্যাখ্যা দেননি।