দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা ও জাতির প্রত্যাশা বিষয়ে প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করছে নির্বাচন কমিশন।
আজ ২৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সাথে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: গণমাধ্যমের ভূমিকা, জাতির প্রত্যাশা’ শীর্ষক সংলাপে অংশ নিয়েছেন শীর্ষ গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা।
রাজনৈতিক সংকট নিরসনে ইসি দুই বড় দলের মধ্যে সংলাপের উদ্যোগ নিতে পারে কিনা সেই প্রশ্ন রেখে ইসিকে সরকারের মতো করে কথা না বলার পরামর্শ দিয়েছেন চ্যানেল আইয়ের চিফ নিউজ এডিটর জাহিদ নেওয়াজ খান জুয়েল।
ইসির সংলাপে বিএনপি সাড়া না দিলেও বারবার আমন্ত্রণ জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম। ভোটের দিন ব্যালট পেপার পাঠানোর সিদ্ধান্ত থেকে ইসিকে সরে না আসার পরামর্শ দেন তিনি।
জবাবে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, বিএনপিকে ডাকা হয়েছে, তারা চা খেতেও আসেনি। তবুও নিরন্তর আহবান জানিয়ে যাবেন তারা।
মাহফুজ আনাম বলেন, ডিসিদের জায়গায় ইসির কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেবার সিদ্ধান্তকে সুষ্ঠ ভোটের পদক্ষেপ বলে জানান মাহফুজ আনাম। অতীত বিতর্কের দায়ভার কাঁধে নিয়ে এবং চলমান রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে থেকে ভোটের মত একটা কঠিন দায়িত্ব পালন করা ইসির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
বৈঠকে নির্বাচনের পরিবেশ না থাকার পরও তফসিলের প্রস্তুতি সাংঘর্ষিক কিনা প্রশ্ন তুলেছেন সাংবাদিক নঈম নিজাম।
সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করার জন্য ইসির কাছে কোন বিকল্প নেই। তাই আইনের মধ্যে থেকে আস্থা অর্জন করে ইসিকে সুষ্ঠ ভোট করার পরামর্শ দিয়েছেন যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম।
“রাজনৈতিক সংকট নিরসনে ইসির কিছুই করার নেই।” ইসির এমন বক্তব্য দায়সারা এবং দায়িত্ব এড়ানোর মতো বলে মন্তব্য করেন এটিএন বাংলার প্রধান নির্বাহী সম্পাদক জ ই মামুন।
তবে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে গণমাধ্যম এর সরাসরি সংবাদ প্রচারসহ বেশ কিছু ইস্যু এবং গণমাধ্যম নীতিমালা নিয়ে বেশিরভাগ আলোচকরাই সমালোচনা করেন।