জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী অবলম্বনে একাধিক ছবি নির্মিত হলেও নির্দিষ্টভাবে তার কৈশোরকাল উঠে আসেনি রুপালি পর্দায়। তবে নির্মাতা মুশফিকুর রহমান গুলজার তুলে আনছেন মহান এই নেতার কৈশোরকাল। জন্ম থেকে কৈশোর ও যৌবনের (১৯২০-১৯৩৮) এই সময়ের শেখ মুজিবকে নিয়ে তিনি নির্মাণ করলেন ‘দুঃসাহসী খোকা’।
ছবিটি মুক্তি উপলক্ষে সোমবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে এফডিসিতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এ ছবির শিল্পী ও কলাকুশলীরা।
সংবাদ সম্মেলনে অতিথি হিসেবে এসেছিলেন চঞ্চল চৌধুরী, বৃন্দাবন দাস, শাহানাজ খুশি, ছটকু আহমেদ, দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, কামাল কিবরিয়া লিপু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে তিনটি পোস্টার ও টিজার দেখানো হয়। পরিচালক গুলজার জানান, সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘দুঃসাহসী খোকা’ ৮ সেপ্টেম্বর সিনেমা হলে মুক্তি পাবে। ইতোমধ্যে এর সেন্সর হয়ে গেছে। যারা দেখেছেন সবাই প্রশংসা করছেন।
কেন এই প্রেক্ষাপট নিয়ে চলচ্চিত্র? চ্যানেল আই অনলাইনকে গুলজার বললেন, বঙ্গবন্ধুর মতো মহান পুরুষ ও নেতা আমাদের নেই। খুব ছোট থেকে তার প্রতি আবেগ কাজ করতো। তার বিশাল জীবন নিয়ে চলচ্চিত্র করতে না পারলেও কিশোর বয়সকে তুলে ধরেছি। বঙ্গবন্ধুর সামাজিক মূল্যবোধ, মানবিক দিক, সাংগঠনিক দক্ষতা আমাকে আকর্ষণ করেছে।
বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন সৌম। তিনি বলেন, অল্প দিনের ক্যারিয়ারে এমন মহান ব্যক্তির চরিত্র করতে পেরেছি এটা আমার সৌভাগ্য। ছবিতে আমি চরিত্রটি ঠিকভাবে করার চেষ্টা করেছি। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিভিন্ন বই পড়ে তার সম্পর্কে জেনেছি। সবাই কেমন ফিডব্যাক দেয় সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি।
এই ছবির আরেক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করা গোলাম ফরিদা ছন্দা বলেন, ফুলের মালা গাঁততে হলে অনেকগুলো ফুল দরকার হয়। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আমাদের দেশে অনেক ছবি হয়েছে। ফুলের মালায় এই ছবটি আরেকটা ফুল হয়ে থাকবে।
‘দুঃসাহসী খোকা’ ছবিতে বঙ্গবন্ধুর বোনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাহমুদা মাহা। তিনি বলেন, ছবির গুরুত্বপূর্ণ অংশ জুড়ে এই চরিত্র। যে কোনো অভিনেত্রী এই চরিত্রটি পেলে লুফে নিতেন। অভিনয় ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে এমন চরিত্র পাওয়ায় আমি ভাগ্যবান।