চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

লক্ষ্ণীপুরে ডোবা থেকে ভাই-বোনের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার

মহিউদ্দিন মুরাদ: লক্ষ্ণীপুর সদর উপজেলার চররমনী এলাকার একটি ডোবা থেকে সামিয়া আক্তার (১০) ও তারই সহোদর তাজমুল হোসেন (৭) এর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার দিবাগত রাত ২টার লাশ ২টি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত দুই শিশুর বাবার নাম সুজন ঢালী। সদর উপজেলার চররমনী এলাকার চরমেঘা এলাকায় রাতে এ ঘটনা ঘটে।

আজ রোববার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোস্তফা কামাল।

তিনি জানান, শনিবার বিকেলে তিন সন্তান নিয়ে নৌকাযোগে বাড়ির পাশের একটি দোকানে সওদা করতে যান কৃষক সুজন ঢালী। এরপর বড় সন্তানকে তার সঙ্গে রেখে দিয়ে ছোট দুই সন্তান সামিয়া আক্তার ও তাজমুল হোসনেকে নৌকায় উঠিয়ে দিয়ে বাড়ির উদ্দেশে ছেড়ে দেন। এ সময় নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ডুবে যায় আশেপাশের চরাঞ্চলসহ বিস্তীর্ণ এলাকা। বহু খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির পাশের একটি ডোবায় তাদের মরদেহ পাওয়া যায়। এতে স্বজন ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।

নিহত দুই শিশুর শরীরে বিভিন্নস্থান থেকে রক্তক্ষরণ হয়। পরে খবর পেয়ে শনিবার গভীর রাতে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে। ময়না তদন্তের লাশ দু’টি জেলা সদর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

এলাকাবাসী জানান, সদর উপজেলার চররমনিমোহন ইউনিয়নের চর মেঘা এলাকার নব্যার চরে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন কৃষক সুজন ঢালি। সম্প্রতি তার প্রতিবেশী আক্কাছ ব্যাপারী ও বিলকিছ গংদের সঙ্গে জমি-সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে সুজন ঢালীকে নানান হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিলেন আক্কাছ ব্যাপারীসহ অন্যরা। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নিয়ে তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী করেন স্বজনরা। এ ঘটনার সুষ্ঠু করে জড়িতদের অনতি বিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন তারা।

নিহত শিশুদেরর শোকাহত বাবা সুজন ঢালী সাংবাদিকদের বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষ আক্কাছ ব্যাপারী ও বিলকিছ গংরা তার দুই সন্তানকে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে ডোবায় ফেলে দেয় তারা। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, ১০ বছরের সামিয়া আক্তার ও সাত বছর বয়সের তাজমুল হোসেনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তারা দুইজনে ভাই ও বোন। বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। হত্যা না দুর্ঘটনা সেটা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না জানান পুলিশের ঊর্ধ্বতন এ কর্মকর্তা।