মধ্যরাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে মো. হানিফ নামের স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার বিচারের দাবিতে মূল ফটকে তালা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধের ডাক দিয়েছে ভিএক্স গ্রুপ।
ফলে ক্যাম্পাস থেকে কোন বাস ছেড়ে যায়নি। এছাড়া শহর থেকে কোন শাটল ট্রেন ছেড়ে আসেনি। এতে করে কার্যত অচল হয়ে পরে ক্যাম্পাস।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেইট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার ছাত্রলীগ নেতারা হলেন ভিএক্স গ্রুপের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় ও সাবেক সহ-সভাপতি রাশেদ হোসাইন। অন্যদিকে অভিযুক্ত মো. হানিফ স্থানীয় যুবলীগ নেতা।
মারধরের শিকার ভিএক্স গ্রুপের ভিএক্স গ্রুপের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় জানান, রাত সাড়ে তিনটার দিকে আমরা মোটরবাইকে করে এক নম্বর গেইট থেকে ক্যাম্পাসে আসতেছিলাম। পথিমধ্যে স্থানীয় যুবলীগ নেতা হানিফ ও তার অনুসারীরা আমাদের ওপর রামদা, লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। আমরা দুইজন দুই দিকে পালিয়ে যাই৷ এরমধ্যে আমাদের দিকে গুলিও ছোঁড়া হয়। আমাদের বাইক কোপানো হয়।
এই ঘটনার বিচারের দাবি এবং হানিফ ও তার দুই ভাইকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে আমাদের কর্মীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অবরোধের ডাক দিয়ে।
অন্যদিকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন যুবলীগ নেতা মো. হানিফ। তিনি বলেন, আমি রাতে ঘুমে ছিলাম। মারধরের বিষয়টি আপনাদের থেকে শুনেছি। এসবে আমি জড়িত নই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর ও দুই নম্বর গেইটে তালা দিয়ে অবস্থান নিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে ব্যারিক্যাড দেয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘ভোর থেকেই ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো অবরোধ করে রাখা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, কিন্তু এখনও সমাধান হয়নি। আজকে ক্লাস হওয়ার বিষয়েও কিছু বলতে পারছি না।’