দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৮৬৫তম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্য দিয়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ২৬৬ জনে দাঁড়ালো।
শেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৪৩০ জন। শনাক্তের হার সাত দশমিক চার শতাংশ।
এর আগে গত ২১ মে এবং তার ৯ দিন পর ৩০ মে আবার মৃত্যু দেখে বাংলাদেশ। গত ৫ আগস্ট দেশে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন রোগী মারা যায়। গত ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ শনাক্ত হয় ১৬ হাজার ২৩০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় (অ্যান্টিজেন টেস্টসহ) ছয় হাজার ১০৫টি পরীক্ষায় ৪৩০ জন এই ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। এই সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার সাত দশমিক চার শতাংশ। তবে শুরু থেকে মোট পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এখন পর্যন্ত ৯৫ লাখ ৮০ হাজার ৫৭৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৪৯ লাখ ৭৫ হাজার ৩৯৭টি নমুনা। অর্থাৎ মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লাখ ৫৫ হাজার ৯৭২টি নমুনা। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ১ হাজার ৭৭৫ জন। তাদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ২৭০ জন সহ মোট ১৯ লাখ ৩৫ হাজার ৯৬৩ জন সুস্থ হয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৭১ শতাংশ।
মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। মৃত চারজনের মধ্যে তিনজন পুরুষ এবং একজন নারী। তাদের মধ্যে চল্লিশোর্ধ্ব একজন, ষাটোর্ধ্ব একজন, আশিউর্ধ্ব একজন ও নব্বইঊর্ধ্ব একজন। যাদের মধ্যে তিনজনের সরকারি হাসপাতালে ও একজনের বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে দু’জন, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৫৭ কোটি ৪৮ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৪ লাখ দুই হাজারের বেশি। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৫৪ কোটি ৪৪ লাখের বেশি মানুষ।