২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত লুৎফর জামান বাবর ও আব্দুস সালাম পিন্টুর মুক্তি চাওয়ায় নিন্দা জানিয়েছেন দেশের ২৭ জন বিশিষ্ট নাগরিক।
দেশের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ২৭ জন বিশিষ্ট নাগরিক এক বিবৃতিতে গতকাল ময়মনসিংহে জনসভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার বক্তৃতায় ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় অভিযুক্ত এবং দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফর জামান বাবর এবং উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে দেওয়া বক্তব্যের নিন্দা জানান।
আজ রোববার ১৬ অক্টোবর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আহ্কাম উল্লাহ্’র সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে তারা বলেন, আদালত কর্তৃক প্রমাণিত বর্বর গ্রেনেড হামলার সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের মুক্তি দাবি করার মধ্যে দিয়ে এ হামলায় তৎকালীন জোট সরকার এবং তাদের রাজনৈতিক সহযোগীদের সম্পৃক্ততার কথাই সত্য প্রমাণিত হলো। মুখে তারা গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের কথা বললেও বাস্তবে তারা যে সন্ত্রাসী এবং মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডকে পৃষ্ঠপোষকতা করে, তার এ বক্তব্য সে সত্যকে তুলে ধরেছে।
বিবৃতিতে একই সাথে চট্টগ্রামে বিএনপির অপর এক জনসভায় যুদ্ধাপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পুত্র হুম্মাম কাদের চৌধুরীর ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের নিন্দা জানানো হয়। গণতন্ত্রের লেবাসধারী এ সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান তারা।
বিবৃতিদাতা ২৭ বিশিষ্ট নাগরিক
সাংবাদিক আবেদ খান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ, প্রফেসর ড. কামরুল হাসান খান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছ, কবি ড. মুহাম্মদ সামাদ, অ্যাডভোকেট আবদুন নূর দুলাল, প্রফেসর ড. এহতেশামুল হক চৌধুরী, প্রফেসর ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, প্রফেসর আ ব ম ফারুক, প্রফেসর নূর মোহাম্মদ তালুকদার, ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, আবৃত্তিশিল্পী আশরাফুল আলম, নাট্যশিল্পী সারা যাকের, আবৃত্তিশিল্পী আহকাম উল্লাহ্, অভিনেতা ঝুনা চৌধুরী, অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ, নৃত্যশিল্পী মিনু হক, সঙ্গীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ, আবৃত্তিশিল্পী মীর বরকত, যাত্রাশিল্পী মিলন কান্তি দে, চারুশিল্পী কামাল পাশা চৌধুরী, অভিনেতা জিয়াউল হাসান কিসলু, অভিনেতা কাউসার চৌধুরী, নাট্যশিল্পী মিজানুর রহমান, নাট্যশিল্পী আকতারুজ্জামান, অভিনয়শিল্পী রোকেয়া প্রাচী ও অভিনয়শিল্পী তানভীন সুইটি।