ঢাকার বসুন্ধরা সিটি, মহাখালির এসকেএস টাওয়ার, মিরপুর, ধানমন্ডি, বিজয় সরণির পর এবার চট্টগ্রামে চালু হলো স্টার সিনেপ্লেক্সের নতুন শাখা। দেশের সর্বাধুনিক এই সিনে থিয়েটারটি চালু হওয়ার বিষয়টি নিয়ে উচ্ছ্বাসের কমতি নেই চট্টগ্রামবাসীর।

শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে চট্টগ্রামের চকবাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সেখানকার বালি অর্কিড শপিং মলে তিনটি স্ক্রিন নিয়ে ৪৮০ সিটের সিনেপ্লেক্স চালু হয়েছে।
এ নিয়ে চট্টগ্রামবাসীর ব্যাপক উচ্ছ্বসিত। তারা বলছেন, এর মাধ্যমে চট্টগ্রামের সিনেমাপ্রেমীদের দীর্ঘদিনের আশা পূরণ হলো।
চট্রগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে একাধিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সিনেপ্লেক্স চালুর ব্যাপারে কথা হয়। তারা জানান, এতদিন চট্টগ্রামে আধুনিক সিনেমা হল ছিল না। অবশেষে তারা বিশ্বের সব বড় বড় সিনেমা দেখতে পাবেন। সেইসাথে দেশের সিনেমাও উপভোগ করতে পারবেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইফুল কবির নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, উন্নত পরিবেশ ছিল না বিধায় এতদিন সিনেমা হলে গিয়ে ছবি দেখিনি। ঢাকায় গেলে সিনেপ্লেক্সে গিয়ে ছবি দেখা হতো। এখন থেকে নিয়মিত পছন্দের ছবিগুলো দেখতে পারবো।
স্টেশন এলাকার রহমতুল্লাহ নামে এক হোটেল ব্যবসায়ী বলেন, আগে সিনেমা হলে গিয়ে শাকিব খান ও কাজী মারুফের ছবি দেখতাম। এখন তাদের ছবি কম হওয়ার আর সেভাবে হলে যাই না। তবে ইউটিউবে তামিল সিনেমা দেখি। যেহেতু সিনেপ্লেক্স এসেছে মাঝেমধ্যে গিয়ে ছবি দেখবো।
সন্ধ্যায় সিনেপ্লেক্স উদ্বোধনের খবরে শপিং কমপ্লেক্সের সামনে উৎসুক জনতার ভীড় দেখা যায়। চোখে পড়ে, অনেকেই পরিবার নিয়ে স্টার সিনেপ্লেক্সে প্রথমদিন ছবি দেখতে এসেছেন।
চট্টগ্রামের সিনেপ্লেক্সের উদ্বোধন আয়োজনে আসেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, চিত্রনায়িকা পরীমনি, শরিফুল রাজ, সালমান মুক্তাদির, সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুবর রহমান রুহেলসহ স্থানীয় সংস্কৃতিজন।
সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান রুহেল বলেন, আমার শহরে সিনেপ্লেক্স চালু করতে পেরে খুশি। ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। আমরা সিনেমা দেখার উপযুক্ত পরিবেশ করছি। আমাদের বিশ্বাস দর্শকরা হলে আসবেন। তৃপ্তি নিয়ে উপভোগ করবেন।