রাজধানী ঢাকার সব আধুনিক প্রেক্ষাগৃহে গত ১৫ অক্টোবর মুক্তি পেয়েছিলো এন রাশেদ চৌধুরীর প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘চন্দ্রাবতী কথা’। নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের দর্শকও দুই সপ্তাহ করে দেখার সুযোগ পেয়েছেন ছবিটি।
আলোচিত এই চলচ্চিত্র এবার মুক্তি পেল রাজধানীর শ্যামলী সিনেমায়। শুক্রবার (৫ নভেম্বর) থেকে দিনে ৪টি প্রদর্শনী করবে শ্যামলী। দুপুর ১২টা ৪০, ৩টা ১৫ এবং সন্ধ্যা ৬টা ১৫ ও রাত ৮টায় রয়েছে প্রদর্শনীগুলো। চ্যানেল আই অনলাইনকে এমনটাই জানান নির্মাতা এন রাশেদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘চন্দ্রাবতী কথা’ মুক্তির চার সপ্তাহে পড়লো। এরইমধ্যে সিনেমাটি রাজধানীর সিনেপ্লেক্সগুলোতে মুক্তি পাওয়ায় বিরাট একটা দর্শকশ্রেণি দেখতে পেরেছেন, যারা দেখেননি তারা এবার শ্যামলীতে দেখে নিতে পারবেন।
নির্মাতা জানান, যেহেতু সিনেমায় ময়মনসিংহ অঞ্চলে কাহিনী উপজীব্য করা হয়েছে, তাই ময়মনসিংহে ‘চন্দ্রাবতী কথা’ মুক্তির পরিকল্পনা করছি। আগামি কয়েক দিনের মধ্যে বিষয়টি জানাতে পারবো। এরপর কিশোরগঞ্জের মানুষদের দেখানোর ইচ্ছে আছে। কারণ সেখানকার লোকজনের সহায়তা মিশে আছে সিনেমায়।
‘বসুন্ধরা এলপি গ্যাস লিমিটেড’ এর নিবেদনে এন রাশেদ চৌধুরীর সিনেমাটি সরকারি অনুদানে নির্মিত।
বাংলাদেশের প্রথম নারী কবি চন্দ্রাবতীকে নিয়ে এই সিনেমার কাহিনী। মলুয়া, দস্যু কেনারামের পালা এবং রামায়ণ তার অন্যতম সৃষ্টি। তবে তার সৃষ্টির চেয়ে ঢের বেশি নাটকীয় এবং একইসঙ্গে বিয়োগান্তক তার নিজের জীবন।
সিনেমাটি চন্দ্রাবতীর সারাজীবনের একটি গল্প, তাই এর পরিধিও বড়। চন্দ্রাবতীর জীবন দেখানোর সাথে সাথে সিনেমায় ওই সময়ের সামাজিক বিভিন্ন প্রেক্ষাপট, ঘটনা এবং পারফর্মেন্স স্টাইলও উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা এন রাশেদ চৌধুরী।
২০১৯ এর নভেম্বরে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রতিযোগিতা বিভাগে প্রদর্শনের মাধ্যমে ‘চন্দ্রাবতী কথা’র ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হয়। এরপর পৃথিবীর বেশ কিছু চলচ্চিত্র উৎসবেও প্রদর্শীত হয় সিনেমাটি।
‘চন্দ্রাবতী কথা’র কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মডেল ও অভিনেত্রী দোয়েল ম্যাশ এবং চন্দ্রাবতীর প্রেমিক জয়ানন্দের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ।
এছাড়া আরো অভিনয় করেছেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, মিতা রহমান, গাজী রাকায়েত, আরমান পারভেজ মুরাদ, নওশাবা আহমেদ, জয়িতা মহলানবিশ প্রমুখ।
ছবির সম্পাদনা ও শব্দ সংযোজনে ছিলেন যথাক্রমে পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত সম্পাদক শঙ্খ ও শব্দগ্রাহক সুকান্ত মজুমদার। এর কালার কারেকশন ও পোস্ট এর অন্যান্য কাজ হয়েছে কলকাতার চেরীপিক্স এ। ছবির সংগীতায়জনে ছিলেন কলকাতার খ্যাতনামা লোকংগীত শিল্পী সাত্যকি ব্যানার্জী। ‘চন্দ্রাবতী কথা’ সিনেমায় অনন্য এক বিচ্ছেদী ভাটিয়ালি গান গেয়েছেন স্থানীয় রামায়ণ-পালা শিল্পী শংকর।
সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ম্যানগ্রোভ পিকচারস ও বেঙ্গল ক্রিয়েসন্স-এর প্রযোজনায় ‘চন্দ্রাবতী কথা’ ছবির টিভি ও অনলাইন সত্ব চ্যানেল আইয়ের।