২৮তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছিলো বৃহস্পতিবার বিকেলে। এদিন পশ্চিম বঙ্গ সরকারের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ থেকে অতিথি হয়েছিলেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী।
যে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারত বর্ষের রথিমহারথিরা। বলিউডের বিগবি অমিতাভ বচ্চন, জয়া বচ্চন, শাহরুখ খান, মহেশ ভাট, শত্রুঘ্ন সিনহা সহ চলচ্চিত্রের কিংবদন্তীরা ছিলেন স্বমহিমায়। তাদের সাথে একই মঞ্চে চঞ্চল চৌধুরীর উপস্থিতি গর্বিত করেছে দুই বাংলার হাজারও মানুষকে!
বিশেষ করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই অমিতাভ বচ্চন ও শাহরুখদের সাথে চঞ্চলের বেশকিছু ছবি ভাইরাল হয় অন্তর্জালে। যেগুলো শুধু চঞ্চল ভক্তই নয়, শেয়ার করে অভিবাদন জানিয়েছেন সুবর্ণা মুস্তাফা, সাবেরী আলেম, বিজরী বরকতউল্লাহ থেকে শুরু করে বাংলাদেশের ছোট ও বড় পর্দার তারকা অভিনেতা, নির্মাতারাও।
এরমধ্যে একটি ছবি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে, যেখানে চঞ্চল চৌধুরীকে বলিউড বাদশাহ শাহরুখের সঙ্গে সেলফি নিতে দেখা গেছে। ছবিটি প্রথমে শেয়ার করেন চঞ্চলের ঘনিষ্ঠবন্ধু ও অভিনেত্রী শাহনাজ খুশী। ফেসবুকে শেয়ার করার পর সেই ছবিটি দ্রুত ছড়িয়ে যায়।
২৮তম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর শাহরুখের সাথে কুশলবিনিময় করেন চঞ্চল। এমন মহাতারকার সঙ্গে দেখা হওয়ার পর কেমন লাগল চঞ্চল চৌধুরীর? তাছাড়া চলচ্চিত্র উৎসবে উপস্থিত থাকার প্রতিক্রিয়াই বা কী?
কলকাতার সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে চঞ্চল বলেন,“অনেক ভাল লেগেছে। এই উৎসবে এসে অনেক সম্মানিত বোধ করছি। শুধু আমি নই, আমার দেশের সকল মানুষও আমাকে এমন মহারথিদের সঙ্গে একই মঞ্চে সম্মানিত হতে দেখে খুবই আনন্দিত। আমার জীবনের একটি স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে থাকবে। কৃতজ্ঞতা জানাই আয়োজক কমিটিকে। অবশ্যই মমতা দিদির (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা আমাকে সম্মানিত করার জন্য।”
শাহরুখের সঙ্গে দেখা করে কেমন লাগল? দু’জনকে সেলফি তুলতেও দেখা গেছে অনুষ্ঠানের পরে। এক কথায় চঞ্চলের উত্তর,‘কী চমৎকার ব্যবহার তাঁর!’
এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় (ভারতীয় সময় ৭টা) কলকাতার নন্দন-১ নম্বর হলে দেখানো হবে চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত বছরের আলোচিত ছবি ‘হাওয়া’। মেজবাউর রহমান পরিচালিত এই ছবিটি দেখতে দুপুর থেকেই নাকি শুরু হয়েছে দর্শকের দীর্ঘ সারি। এই ছবিটি প্রদর্শনীর সময় চঞ্চল চৌধুরী ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন নির্মাতা, অভিনেত্রী সহ ‘হাওয়া’ টিম।
‘হাওয়া’ ছাড়াও কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে শুক্রবার সকালে প্রদর্শীত হয়েছে বাংলাদেশের আরেক ছবি ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’। ছবিটি পরিচালনা করেছেন মুহাম্মদ কাইউম।