আজ ১২ রবিউল আউয়াল, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী। হিজরী বছরের রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম ও মৃত্যু দিবস। এই উপলক্ষে চট্টগ্রামে লাখো মানুষের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুস।
৫০তম এ জুলুসে নেতৃত্ব দেন পাকিস্তানের সিরিকোর্ট শরীফ থেকে আগত হুজুর কেবলা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ। আয়োজক কমিটির প্রত্যাশা ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুস পালনের মাধ্যমে সমগ্র পৃথিবীতে মহান আল্লাহ দু:খ দুর্দশা দূর করে শান্তির বারতা ফিরিয়ে দেবেন।
লাখো লাখো ধর্মপ্রাণ মানুষের অংশগ্রহণে নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর, নারায়ে রেসালাত এয়া রাসুলাল্লাহ, হামদ, নাতে রাসুল, গজল, জিকিরের সাথে সকালে চট্টগ্রামের ষোলশহর আলমগীর খানকাহ-এ কাদেরিয়া সৈয়দিয়া থেকে ঐতিহাসিক জশনে জুলুস বের করা হয়। জুলুস শুরুর আগে আয়োজক কমিটি ব্রিফিং এ বলেন, পবিত্র জশনে জুলুস এখন চট্টগ্রামের ঐতিহ্যে রূপ নিয়েছে।
জশনে জুলুসে অংশ নিতে গতকাল থেকেই চট্টগ্রাম ও আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে নবী প্রেমি হাজার হাজার আশেকানরা জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা মাঠে জড়ো হয়। জুলুসকে কেন্দ্র করে নগরীর অধিকাংশ সড়ক পরিণত হয় জনসমুদ্রে।
১৯৭৪ সাল থেকে চট্টগ্রামে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হয়ে আসছে এ জশনে জুলুস। এই আয়োজনকে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের স্বীকৃতি দেয়ার দাবি আয়োজকদের।