পাকিস্তান-ইংল্যান্ড দুটি দেশের সামনেই টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা ডাবল করার মিশন। মেলবোর্নে সোমবার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের আগে দুদলের অধিনায়ক জানিয়েছেন শক্তি-সামর্থ্যের কথা। শিরোপা জিততে শতভাগ দেবার প্রত্যয় জানিয়েছেন বাবর আজম। জশ বাটলার ব্যবহার করবেন পাকিস্তানের মাটিতে খেলার অভিজ্ঞতা।
১৯৯২ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল পাকিস্তান। তিন দশক পর আবারও সেই স্মৃতি হাতছানি দিচ্ছে বাবরের দলকে। অধিনায়কও চাচ্ছেন ৯২ ফিরিয়ে আনতে, দেবেন শতভাগ উজাড় করে।
ফাইনালের আগে পাকিস্তান অধিনায়ক বলেছেন, ‘মিল (১৯৯২ বিশ্বকাপের সঙ্গে) তো আছে। আমরা ট্রফিটা জেতার চেষ্টা করব আর এই দলটার অধিনায়কত্ব করাও গর্বের, বিশেষ করে এমন একটা মাঠে (মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড)। ফাইনাল ম্যাচ জিততে নিজেদের শতভাগ উজাড় করে দেব।’
বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তানে ৭টি টি-টুয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ খেলেছিল ইংল্যান্ড। ইনজুরির কারণে বাটলার খেলতে পারেননি একটি ম্যাচও। সিরিজটি মঈন আলীর দলের কাছে ৪-৩ ব্যবধানে হেরেছিল বাবর-রিজওয়ান। সেই সফরের অভিজ্ঞতা ফাইনালেও কাজে লাগাতে চান বাটলার।
শিরোপা উঁচিয়ে ধরার ম্যাচের আগে ইংলিশ অধিনায়ক বলেছেন, ‘কঠিন চ্যালেঞ্জের প্রত্যাশা করছি, যেমনটা আগেও বলেছিলাম। তারা এমন একটি দল, যাদের বিপক্ষে সম্প্রতি অনেক খেলেছি। আমাদের মধ্যে দারুণ কিছু ম্যাচ হয়েছে। দারুণ উদ্দীপনায় খেলেছিলাম। আমি নিশ্চিত, আগামীকালও এর ব্যতিক্রম হবে না।’
টি-টুয়েন্টিতে ২৮ বার মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান-ইংল্যান্ড। এরমধ্যে ১৮টিতে জিতেছে ইংলিশরা। নয়টিতে জয় পাকিস্তানের। একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। ইংল্যান্ড যে ১৮ ম্যাচে জিতেছে, এর সাতটি ঘরের মাঠে, চারটি পাকিস্তানের মাঠে ও বাকি সাতটি নিরপেক্ষ ভেন্যুতে।
বিশ্বকাপের মঞ্চে দুবারের দেখায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আগে একবারও জিততে পারেনি পাকিস্তান। মেলবোর্নের ফাইনালে দুটি দলের সামনেই পরিসংখ্যান নিজেদের পক্ষে বাড়িয়ে নেবার সুযোগ।