চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে রেজা হেন্ডরিক্স ও জেমস নিশামের তাণ্ডবে আসরে প্রথম দুইশ রান পার করে রংপুর রাইডার্স। পাহাড়সম রান তাড়া আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি চট্টগ্রামের পক্ষে। সোহান-সাকিবদের কাছে ৫৩ হেরে গেছে শুভাগত হোমের দল। চট্টগ্রামকে ধসিয়ে টানা পঞ্চম জয় দেখল রংপুর। ৮ ম্যাচে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান আরও মজবুত করলো তিস্তাপাড়ের দলটি। অন্যদিকে সমান ম্যাচে ৫ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তিনেই থাকলো চট্টগ্রাম।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাটের সিদ্ধান্ত নেন রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। নির্ধারিত ওভার শেষে ৩ উইকেটে ২১১ রান করে তারা। জবাবে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১৫৮ রানে থামে চট্টগ্রামের ইনিংস।
রান তাড়ায় নেমে চট্টগ্রামের শুরুটা ভালো হয়নি। ৩৭ রানে দুই ব্যাটারকে হারায় তারা। ১২ রানে জশ ব্রাউনকে ফিরিয়ে প্রথম ব্রেক-থ্রু এনে দেন সাকিব আল হাসান। ৭.১ ওভারে ৩৭ রানে টম ব্রুসকে ফেরান ইমরান তাহির।
ওপেনিংয়ে নামা সৈকত আলির শুরুটা ছিল টেস্ট মেজাজে। পরে অবশ্য তা পুষিয়ে দিয়েছেন তিনি। ছয়টি ছক্কা ও এক চারে ৪৫ বলে ৬৩ রান করেন। ২১ বলে ২৪ রান করেন কার্টিস ক্যাম্ফের। এছাড়া শেষ দিকে তিন চার ও দুই ছক্কায় ১৩ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন শুভাগত হোম।
রংপুরের হয়ে সাকিব ও জেমস নিশাম দুটি করে উইকেট নেন। এছাড়া ইমরান তাহিরে নেন একটি।
এরআগে ব্যাটে নেমে ঝড়ো শুরু পায় রংপুর। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৬১ রান। ৬.৫ ওভারে রনি তালুকদার ফিরে যান ১৭ বলে ২৪ রান করে। ১০.১ ওভারে শতরান পূর্ণ করে রংপুর।
তিনে নামা সাকিব আল ফিরে যান দলীয় ১২১ রানে। তিনটি চার ও এক ছক্কায় ১৬ বলে ২৭ রান করেন টাইগার অলরাউন্ডার। তার আগে ব্যাট হাতে অনবদ্য এক মাইলফলকে নাম লেখান সাকিব আল হাসান। টি-টুয়েন্টিতে ৭ হাজার রানের মাইফলক স্পর্শ করন টাইগার অলরাউন্ডার। এতে সাকিবের লেগেছে ৩৮৭ ইনিংস।
১২.৩ ওভারে ১২২ রানে হেনড্রিক্স আউট হয়ে যান। তিন ছক্কা ও পাঁচ চারে করেন ৪১ বলে ৫৮ রান। পরে নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে ঝড় তোলেন জেমস নিশাম। পাঁচ চার ও তিনি ছক্কায় ২৬ বলে ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। অন্যপ্রান্ডে দুটি চার ও একটি ছক্কায় ২১ বলে ৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন সোহান।
চট্টগ্রামের হয়ে সালাউদ্দিন সাকিল নেন দুটি, এছাড়া নিহাদুজ্জামান নেন এক উইকেট।