ফাইনালের টিকিট কাটার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নেপালের কোচ ইয়াম প্রসাদ গুরুং বলেছিলেন, বাংলাদেশ ভালো দল হলেও আমরা তাদের চেয়ে ভালো দল। ফাইনালের আগের সংবাদ সম্মেলনে তিনি সরাসরি বলে দিলেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে নিতে চান প্রতিশোধ। তার উল্টো পথে হেঁটে লাল-সবুজের দলের কোচ গোলাম রব্বানি ছোটন অবশ্য প্রতিপক্ষকে সমীহই করছেন। বললেন, ঘরের মাঠে শিরোপা জয়ের প্রত্যাশার কথা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে শিরোপাযুদ্ধ শুরু হবে। বুধবার বিকেলে বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের দুদলের কোচ-অধিনায়ক। ট্রফি সামনে রেখে তোলেন ছবি। তারপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের ফুলঝুরির জবাব দেন।
বাংলাদেশ দলের কোচ ছোটন বললেন, ‘আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি নেপাল দলকে ফাইনালে ওঠার জন্য। আর একটা ম্যাচ বাকি আছে। যেহেতু আমরা ফাইনালে উঠে গেছি। মেয়েরা যে ফুটবল উপহার দিয়েছে, সেটা অব্যাহত রাখবে। জয়ের জন্যই তারা মাঠে নামবে।’
স্বাগতিক দেশের আগে সংবাদ সম্মেলনে আসে নেপাল। দলটির কোচ প্রতিপক্ষ তথা সামসুন্নাহারদের দুর্বলতা জানেন, জানিয়ে যান সেটা। এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণের পর ছোটন বললেন, ‘সবাই সবার খেলা দেখেছে। আমরাও তাদের খেলা দেখে সেভাবে পরিকল্পনা সাজিয়েছি। আমরা স্বাভাবিক খেলাটা খেলব।’

ভারতের ফাইনালে উঠতে না পারায় মোটেও অবাক হননি ছোটন। বরং নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটি প্রতিযোগিতামূলক হবে বলেই মনে করেছেন।
‘ম্যাচটা ছিল ভিন্ন রকম। নেপাল তাদের শক্তি প্রয়োগ করে ভালো ফুটবল খেলেছে। নেপাল শক্তিশালী দল, এটা আমি সবসময় বলে এসেছি। বারবার বলে এসেছি বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল সমশক্তির দল।’
বাংলাদেশ দলের ফুটবলারদের গোল স্কোরিং দক্ষতা থাকলেও ফিনিশিংয়ে ঘাটতি চোখে পড়েছে। বিশেষ করে অসংখ্যবার অফসাইডের ফাঁদে পড়ায় গোলের সম্ভাবনা কাজে লাগানো যায়নি। ভুটানের বিপক্ষেও দেখা গেছে একই চিত্র। তবে ছোটন বললেন, ‘শুরুতে সমস্যা পেলেও ম্যাচের বাকি সময়ে তা ঠিক হয়েছে।’
ফাইনাল ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ালে সেটির প্রস্তুতিও বাংলাদেশ নিয়ে রেখেছে। ভুটানের বিপক্ষে শাহেদা আক্তার রিপার পেনাল্টি কিক নিয়ে কথা উঠলে ছোটন বললেন, ‘এবারের বিশ্বকাপ যদি দেখে থাকেন, দেখবেন মেসি থেকে শুরু করে সবাই মিস করেছে।’
এর আগে নেপালের কোচ বলে যান, ‘কোনো চাপ নেই। আমরা সময়ের সঙ্গে মানিয়ে খেলি।’
বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ম্যাচ খেলায় স্বাগতিকদের শক্তিমত্তা ও দুর্বলতা সম্পর্কে ধারণা হয়েছে অতিথিদের। দুর্বলতা সম্পর্কে অবশ্য বললেন, ‘বাংলাদেশের দুর্বলতা আমি প্রকাশ করব না।’
নেপালের অধিনায়ক প্রীতি রায় ফাইনাল বেশ কঠিন হবে বলে মনে করছেন। তবে আত্মবিশ্বাস রাখছেন শিরোপার, ‘ফাইনালটি বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণই হবে। আমরা আত্মবিশ্বাসী, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে। আমাদের কষ্টের ফল পাব আশা করি।’