সংবাদ সম্মেলনে আসার পর ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল দলের কোচ ও অধিনায়কের সঙ্গে সাংবাদিকদের পরিচয় করান বাফুফের মিডিয়া ম্যানেজার। কথা শুরুর আগমুহূর্তে তিনি জানিয়ে দেন, কোচকে চাইলে বাংলায় প্রশ্ন করা যাবে। কারণ ভারতের কোচ শুক্লা দত্ত একজন বাঙালি। ভারসাম্যপূর্ণ দল নিয়ে শিরোপা জয়ের লক্ষের কথা শুক্লার মুখে এলেও বাংলাদেশকে সমীহই করলেন। মেয়েদের সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান শিরোপাধারীদের দেখালেন সম্মান।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন শুক্লা ও ভারত অধিনায়ক নিতু লিন্ডা। সব প্রশ্নের উত্তর কোচ বাংলাতেই দেন। তবে হিন্দিতে বলেন মিডফিল্ডার নিতু। বলেন, ‘শতভাগ দিয়ে ভালো করতে চাই। কোচ ভালো ট্রেনিং দিয়েছেন।’
বাংলাদেশ জাতীয় দলের পাঁচ ফুটবলার আসরটিতে খেলছেন। বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন? টিম ইন্ডিয়ার কোচ বললেন, ‘দেখুন বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে সিনিয়র কিংবা বয়সভিত্তিক পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ওটাকে মাথায় রেখে দল তৈরি করেছি। কীভাবে খেলতে হবে সেটা ওদেরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশকে কখনোই ছোট করে দেখছি না। কারণ তারা চ্যাম্পিয়ন দল। ভুটান খুব ভালো দল, নেপাল খুব ভালো দল। ব্যাপারটা মাথায় রেখে শক্তভাবেই খেলব। সবকিছু ভেবে কৌশলগত জায়গাগুলো তৈরি করেছি।’
ভারত জাতীয় দলের কোনো ফুটবলার স্কোয়াডে না থাকলেও ইন্ডিয়ান উইমেন্স লিগ খেলা ৭-৮ জন খেলোয়াড় রয়েছেন, জানালেন কোচ। অধিনায়ক নিতুসহ অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে খেলা ৪-৫ জন ফুটবলারকে দলে রাখা হয়েছে। বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে অতীতে বাংলাদেশে আগে খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন রয়েছেন ৩-৪ জন।
টুর্নামেন্টে অংশ নেয়ার আগে গোয়ায় একমাসের ক্যাম্প করেছে ভারত। ইন্ডিয়ান উইমেন্স লিগে খেলা ফুটবলাররা দেরিতে ক্যাম্পে যোগ দেয়ায় পুরো দল নিয়ে অনুশীলন সম্ভব হয়নি। শুক্লা অবশ্য বললেন তাদের অনুপস্থিতি মোটেও অনুশীলনকে বাধাগ্রস্ত করেনি, বরং সুবিধাই হয়েছে।
‘লিগে খেলার পর ওরা জাতীয় দলে যোগ দিয়েছে। বাধাগ্রস্ত হয়নি, কারণ ওরা অনুশীলনের মধ্যে ছিল। লিগ যেটা হয়েছে সেটা দারুণ জায়গা। আপনাদের বাংলাদেশ সিনিয়র দলের দুজন (সাবিনা ও সানজিদা) খেলতে গেছে। সবশেষ দুই-তিন-চার বছর ধরে লিগ হচ্ছে। এতে সুবিধা যেটা হয়েছে, আমরা অনেক ভালো ফুটবলার পাচ্ছি। সিনিয়র জুনিয়র মিলে যে কম্বিনেশনটা সেটা খুব ভালো হয়েছে। আমার যেটা সুবিধা হয়েছে, তারা খেলে দলে যোগ দিয়েছে।’
কমলাপুরে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের সব খেলা গড়াবে। ভেন্যুটির মানহীন টার্ফ নিয়ে যেকোনো আসর শুরুর আগে আলোচনা নিয়মিত এক ঘটনা। টার্ফ নিয়ে জানতে চাইলে ভারতের কোচ বললেন, ‘অনুশীলনের সময় আমার কাছে মনে হয়েছে এখানে রাবারের পরিমাণ বেশি। বল বেশি বাউন্স করবে। গোয়াতে টার্ফেই অনুশীলন করে এসেছি।’