লা লিগার দুই জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা, যাদের খেলা দেখতে মুখিয়ে থাকে ফুটবল বিশ্ব। আধিপত্যের লড়াইয়ে কেউ কাউকে নাহি দেয় ছাড়। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুক্লাবের হয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জানান দিয়েছেন বহু কিংবদন্তি ফুটবলার। গৌরবের ব্যালন ডি’অর জিতে ক্লাবকে করেছেন সমৃদ্ধ। এই পথে এগিয়ে কোন ক্লাবটি?
মাঠ ও মাঠের বাইরে কেউ কাউকে এতটুকু ছেড়ে কথা বলে না বার্সা-রিয়াল। পিছিয়ে নেই সমর্থকরাও, যেকোনো মূল্যে হারানো চাই প্রতিপক্ষ দলের সমর্থকদের। কথার লড়াইয়ে জিততে সবার আগে হিসেবে আসে ক্লাব শিরোপা। সেরা ফুটবলারের গোলসংখ্যা আসে তারপর। তর্কে ঢাল হতে পিছিয়ে থাকে না ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ মুকুট ব্যালন ডি’অরের হিসেবও।
১৯৫৬ সাল থেকে প্রতিবছর ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের এই পুরস্কার দিয়ে আসছে ফিফা। প্রথম আসরে জিতেছিলেন ইংল্যান্ডের স্ট্যানলি ম্যাথিউস। ৭বার শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার ব্যালন ডি’অর ছুঁয়ে রেকর্ড গড়েন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি লিওনেল মেসি। তার পরের অবস্থানে পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, জিতেছেন ৫বার। দু’জনেই খেলেছেন স্প্যানিশ জায়ান্ট দুই ক্লাবে।
ব্যালন ডি’অর জয়ী ফুটবলারের বিচারে রিয়ালের থেকে খানিক এগিয়ে বার্সা। যা কাতালান সমর্থকদের জন্য খুশির! এপর্যন্ত মোট ৬ ফুটবলার ১২ বার ব্যালন ডি’অর এনে দিয়েছেন বার্সার জার্সি গায়ে জড়িয়ে। বিপরীতে ১ ব্যালন ডি’অর কম জিতেছেন রিয়াল ফুটবলাররা। ফুটবলারের সংখ্যার বিচারে অবশ্য বার্সার চেয়ে এগিয়ে রিয়াল। বার্সার ৬ ফুটবলারের বিপরীতে রিয়ালের ৭ জন জিতেছেন।
রিয়াল জার্সিতে মোট ৪ বার ব্যালন ডি’অর উঁচিয়ে ধরেছেন রোনালদো। ২০০৮, ২০১৩, ২০১৪ ও সবশেষ ২০১৭ সালে রিয়াল জার্সিতে গৌরবের পুরস্কারটি হাতে তোলেন ৩৭ বর্ষী মহাতারকা। বিপরীতে বার্সার জার্সিতে ৬ বার মেসি গড়েছেন অনন্য এই কীর্তি। ২০০৯ থেকে ২০১২, টানা পাঁচবার জিতেছেন, পরে ২০১৫ সালে বার্সার জার্সিতে পুরস্কার হাতে তোলেন।
মেসির পর ১৯৭৩-৭৪ টানা দুই বছর বার্সার জার্সিতে ব্যালন ডি’অরের স্বাদ পেয়েছিলেন ইয়োহান ক্রুইফ। রিয়ালের সাবেক আলফ্রেডো ডি স্টেফানোও জিতেছেন দু’বার। ১৯৫৭ সালের পর ১৯৫৯ সালে, ব্যালন ডি’অর ওঠে তার হাতে।