সিনেমা প্রেমীদের কাছে নায়ক বাপ্পারাজ মানেই ব্যর্থ প্রেম ট্র্যাজেডির গল্প! ত্রিভুজ প্রেম অথবা স্যাক্রিফাইসের গল্প নির্ভর সিনেমাগুলোর কারণে আজও এই নায়ক তুমুল জনপ্রিয়! এ জন্য বাপ্পারাজকে অনেকেই বলে থাকেন ‘ব্যর্থ প্রেমের সফল নায়ক’!
দর্শকদের এমন ভাবনাকে কীভাবে দেখেন বাপ্পারাজ?
শুক্রবার সন্ধ্যায় অরুণা বিশ্বাস পরিচালিত ‘অসম্ভব’ ছবি মুক্তির সংবাদ সম্মেলনের পর চ্যানেল আই অনলাইনের থেকে এই প্রশ্নটি শুনে হাসিমুখে বাপ্পারাজ বলেন, যদি একশো ছবি করে থাকি হয়তো আট-দশটি ছবিতে এমন চরিত্রে অভিনয় করেছি। হতে পারে দর্শকদের কাছে এই ধরনের চরিত্রে আমার অভিনয় ভালো হয়েছে, দর্শকদের মনে গেঁথে গেছে। এ কারণে আমি ব্যর্থ প্রেমের সফল নায়ক হিসেবে মানুষের হৃদয়ে রয়ে গেছি।
”অনেকেই মনে করেন আমার সব সিনেমা হয়তো এমন। কিন্তু না। আমি অ্যাকশন, পারিবারিক গল্পের ছবিও অনেক করেছি। তবে হ্যাঁ, ওইসব চরিত্রগুলো হয়তো ঠিকঠাকভাবে করতে পেরেছি বলে দর্শকদের মাথায় রয়ে গেছি। ওইসব গান বা সংলাপগুলো এখন ফেসবুক বা অন্যান্য মাধ্যমে ছড়াছড়ি হয়। এগুলো দেখে আমার ভালো লাগে। যে অভিনেতা মানুষের মনের মধ্যে কাজ দিয়ে যেতে পারবে সে আসলে তার স্থানে সফল হয়ে যায়।”
বাংলা সিনেমা নায়কদের রাজা অর্থাৎ নায়করাজ বলা হয় রাজ্জাককে। তারই পুত্র বাপ্পারাজ। ১৯৮৬ সালে রাজ্জাকের পরিচালনায় ‘চাঁপাডাঙার বউ’ ছবি মাধ্যমে সিনেমায় আসেন বাপ্পারাজ। এরপর জীবন যন্ত্রণা, ভুলনা আমায়, বাবা কেন চাকরসহ বহু সিনেমা করে জনপ্রিয়তা পান তিনি। সর্বশেষ ‘পোড়ামন ২’ ছবিতে দেখা গিয়েছিল বাপ্পারাজকে।
এখন কেন সিনেমা করেন না? বাপ্পার উত্তর, যেসব সিনেমা আমার কাছে আসে একই চরিত্র! বারবার একই চরিত্র করতে মজা লাগে না। বয়স হয়েছে, তাই ভারী কিছু চরিত্র করতে চাই। এখন এফডিসির বাইরে ভালো সিনেমা নির্মাণ হচ্ছে। কথাটা আরও পাঁচ বছর আগে বলেছিলাম। মিডিয়ার ডিরেক্টররাই ভালো করছে। তারা সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে। এফডিসি সিনেমাটোগ্রাফি, নির্মাণ এবং কনসেপ্ট সবদিক থেকে পিছিয়ে আছে।