
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতার পথ অনুসরণ করে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে সরকার। ২০০৮ সাল থেকে গণতান্ত্রিক ধারা ও স্থিতিশীল শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রয়েছে বলে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত আছেন। বাংলাদেশ সংঘাত নয় শান্তি চায়। বিশ্ব শান্তি-নিরাপত্তায় বাংলাদেশ এখন দায়িত্বশীল ও নির্ভরযোগ্য নাম।
সোমবার (২৯ মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৩’ উদযাপন এবং বিশ্ব শান্তিরক্ষায় শাহাদত বরণকারী ও আহত সদস্যগণের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবসের অনুষ্ঠানে, শান্তিরক্ষীরা আরও দক্ষতা, পেশাদারিত্ব, সাহস ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে দেশের সম্মান ও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির সাম্প্রতিক প্রসার ও অগ্রযাত্রার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে অপশক্তিগুলোর নতুন নতুন হুমকি। ফলে, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনগুলোতে শান্তিরক্ষীদের বহুমাত্রিক জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তাই শান্তিরক্ষা মিশনগুলো উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সমৃদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তা এখন বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৩’ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে আমি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমি বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জীবন উৎসর্গকারী সব শান্তিরক্ষীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। শ্রদ্ধা জানাচ্ছি সব আহত শান্তিরক্ষীসহ বর্তমানে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত শান্তিরক্ষীর প্রতি।
তিনি আরও বলেন, পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা রোধ, সাম্য-মৈত্রী, গণতন্ত্র রক্ষা এবং বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্ব শান্তি পরিষদ বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৩ সালের ২৩ মে ‘জুলিও-কুরি শান্তি পদক’-এ ভূষিত করে। তিনি সেই পদক উৎসর্গ করেছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মদানকারী শহীদদের এবং বীর সেনানীদের।
এসময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন দেশের শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্বরত বাংলাদেশী সদস্যদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন।