এশিয়া কাপের ফাইনাল তিনবার খেলেছে বাংলাদেশ। মহাদেশীয় আসরে শিরোপা জিততে না পারার আক্ষেপ মেটার আশায় প্রতিবার মুখিয়ে থাকেন টাইগার সমর্থকগোষ্ঠী। বেশ কয়েকটি আসরে লড়াকু ক্রিকেট খেলাতে বেড়েছে প্রত্যাশা। কিন্তু হতাশার পাল্লাই ভারী হচ্ছে। ব্যাটিং ব্যর্থতায় বারবার পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে কতটা ভালো করতে পারবে সেটি নিয়েও জাগছে শঙ্কা।
আর মাত্র ২৮ দিন পর ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। বিশ্বআসরের আগে মহাদেশীয় টুর্নামেন্টকে ‘প্রস্তুতির মঞ্চ’ ধরা হলে তাতে ব্যাটিং ব্যর্থতার পাল্লাই ভারী।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচে ১৬৪ রানে অলআউট হয়ে এশিয়া কাপ শুরু করে বাংলাদেশ। সেই হতাশা থেকে টিম টাইগার্স বের হয় আফগানিস্তানের বিপক্ষে লাহোরের উইকেটে তিনশ পেরোনো স্কোর করে। এক ম্যাচ পর একই মাঠে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে পুরনো চেহারায় সাকিব আল হাসানের দল।
গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের ব্যাটিং স্বর্গে শুরু ও শেষের ধসে মাত্র ১৯৩ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের মধ্যে দুটিতেই দুইশর কম সংগ্রহ ভালো বার্তা দিচ্ছে না, বিশেষ করে বিশ্বকাপের আগে। যেখানে বাংলাদেশের স্বপ্ন এবার প্রথমবারের মতো সেমিফাইনাল খেলা।
শ্রীলঙ্কা ম্যাচে পাল্লেকেলেতে ব্যাটিং করা কিছুটা কঠিন ছিল। তবে মোটে ১৬৪ রানে অলআউট হওয়ার মতো নয়। পরের দুই ম্যাচ হয়েছে লাহোরে। যেখানে তিনশ রান করতে না পারলে জয়ের আশা করাই কঠিন! সেখানে দুইশর কম পুঁজিতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছেন তাসকিন-হাসান-শরীফুলরা।
যে উইকেটে শুরু থেকেই রানরেট ছয়ের উপরে রেখেছে বাংলাদেশ। ধস কাটিয়ে মিডলওভারেও ছিল পাঁচের উপর রানরেট। প্রজেক্টেড স্কোর ছিল আড়াইশর উপর। সেখানে দুইশর আগেই থেমে গেল বাংলাদেশ।
সাকিব-মুশফিকের শতরানের জুটিও বিফলে গেছে শেষে ১৯ রানে ৫ উইকেট হারানোর মধ্য দিয়ে। লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ খেলেছিল ৪২.৪ ওভার। পাকিস্তানের বিপক্ষে গুটিয়ে যায় চল্লিশ ওভারের (৩৮.৪) মধ্যেই।
ব্যাটিং উইকেটে টস জয়কে সৌভাগ্য হিসেবে দেখেছিলেন সাকিব। বড় রানে চোখ রেখে বাংলাদেশ অধিনায়ক আগে ব্যাটিং বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু শুরু ও শেষের ব্যাটারদের এলোমেলো ব্যাটিংয়ে আশা রূপ নিয়েছে হতাশায়। অভিজ্ঞ সাকিব-মুশফিক পঞ্চম উইকেটে শতরানের জুটি উপহার দিতে না পারলে বড় লজ্জায়ই পড়তে হতো বাংলাদেশকে।