ওল্ড ট্রাফোর্ডে ৫৯৮ টেস্ট উইকেট নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন স্টুয়ার্ট ব্রড। ম্যাচে তার প্রথম শিকার হন উসমান খাজা। পরে ট্রাভিস হেডকে দ্বিতীয় শিকার বানিয়ে ৬০০ উইকেটের এলিট ক্লাবে পৌঁছে যান। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় বোলার ও ইতিহাসের দ্বিতীয় পেসার হিসেবে ১৬৬তম ম্যাচে মাইলফলক ছুঁয়েছেন ব্রড।
টেস্টে ৬০০ উইকেটের ক্লাবে প্রবেশের পর উচ্ছ্বাস ঝরেছে ব্রডের কণ্ঠে। স্মরণ করেছেন অতীত। অ্যাশেজের চতুর্থ টেস্টের প্রথমদিনের খেলা শেষে বলেছেন, ‘ড্রেসিংরুমে আমার ১০০ ও ২০০তম টেস্ট উইকেট পাওয়ার ভিডিও ক্লিপগুলো দেখানো হচ্ছিল। ক্যাচগুলো পুরনো, ক্লাসিক্যাল ডিসমিসাল নয়।’
‘দারুণ ব্যাপার হল আমাদের দলের হয়ে বেশি ক্যাচ নেয়া জো রুটের হাতে বল ধরা পড়েছিল। ভবিষ্যতে আমার নাতি-নাতনিদের বলতে পারব, ক্যাচগুলো প্রথম স্লিপে নেয়া হয়েছিল।’
ওল্ড ট্রাফোর্ডেই ৫০০তম উইকেট পেয়েছিলেন ব্রড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই ম্যাচে গ্যালারিতে ছিল না কোনো দর্শক। করোনা মহামারীর কারণে বায়োসুরক্ষা বলয়ে হওয়া সেই টেস্টে ব্রডের মা ছিলেন হাজির। ম্যাচ রেফারি ছিলেন ৩৭ বর্ষী পেসারের বাবা ক্রিস ব্রড।
দীর্ঘ ১৬ বছরের ক্যারিয়ারে ছয় অধিনায়কের অধীনে পাঁচটি মহাদেশে খেলা ব্রডের আগে ৬০০ উইকেটের ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন মাত্র চার ক্রিকেটার। মুত্তিয়া মুরালিধরন (১৩৩ ম্যাচে ৮০০ উইকেট), শেন ওয়ার্ন (১৪৫ ম্যাচে ৭০৮ উইকেট), অনিল কুম্বলে (১৩২ ম্যাচে ৬১৯ উইকেট) ও জেমস অ্যান্ডারসন (১৮২ ম্যাচে ৬৮৮ উইকেট)।