টিভি পর্দায় সাহিত্য নির্ভর কাজে সুনাম অর্জন করেছেন নির্মাতা আশুতোষ সুজন। সেদিক থেকে চেয়েছিলেন তার পরিচালিত প্রথম ছবি যেন সাহিত্য বা উপন্যাস নির্ভর হয়। এ কারণে কবি নির্মলেন্দু গুণের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ‘দেশান্তর’ বানিয়েছেন আশুতোষ সুজন।
আহমেদ রুবেল, ইয়াশ রোহান, মৌসুমী, রোদেলা টাপুর, মামুনুর রশীদ, মোমেনা চৌধুরী অভিনীত এ ছবিটি শুক্রবার (১১ নভেম্বর) মুক্তি পেতে যাচ্ছে। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় কিছু মানুষ নানা সংকটের মধ্যে দেশ ছাড়েননি, বরং দেশ প্রেমের তাগিদে থেকে গিয়েছিলেন এদেশে।
সেই প্রেক্ষাপট পর্দায় তুলে আনছেন আশুতোষ সুজন। তবে সরকারী অনুদান প্রাপ্ত এই ছবির মুক্তি দিতে গিয়ে অনেকটা বেগ পেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের।
যেভাবে মুক্তি দিতে চেয়েছিলেন তেমনটি হচ্ছে না। নির্মাতা সুজন বললেন, এই ধরনের ছবির জন্য হল পাওয়া পাহাড়া ডিঙানোর মত কষ্টের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আপাতত দুটি হল চূড়ান্ত হয়েছে। কিন্তু এ ভিন্নভাবে গল্প বলা দেবী, হাওয়ার মতো ছবিগুলোও যথাযথ প্রদর্শণে দর্শক গ্রহণ করছেন।
‘দেশান্তর’ মুক্তি উপলক্ষে বুধবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা ইনস্টিটিটে এক সংবাদ সম্মেলনে আশুতোষ সুজন বলেন, শুক্রবার যমুনা ব্লকবাস্টার ও লায়ন সিনে মাসে ছবিটির প্রদর্শনীর ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছি। কিন্তু প্রথম সপ্তাহে সিনেপ্লেক্সে নেইনি। কারণ, হলিউডের নতুন ছবি চলবে। শিল্পের সাথে বাণিজ্য জড়িত বলে হয়তো নেয়নি। তবে দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে সিনেপ্লেক্সে চলতে পারে। এর বাইরে স্ক্রিঙ্গেল স্ক্রিন তেমনটা নেই।
তিনি বলেন, দেশপ্রেমের এই সিনেমার স্পন্সরের জন্য বিভিন্ন কোম্পানির কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। হয়তো তাদের বোঝাতে পারিনি। তাছাড়া নতুন ফিল্ম মেকার হিসেবে আমি মনে করি, আমাদের দেশে সিনেমা মুক্তির ক্ষেত্রে পরিবেশনায় যারা থাকেন তাদের স্বচ্ছ থাকা উচিত। সরকারী অনুদানের ছবিগুলোর ক্ষেত্রে প্রদর্শনে প্রাধান্য দেয়া উচিত। এ ক্ষেত্রে সরকার বা মন্ত্রণালয়ের সুদৃষ্টি কামনা করি।
”সিঙ্গেল স্ক্রিনের মালিকরা ‘দেশান্তর’ দেখাতে চায়নি। এ ক্ষেত্রে ‘দেশান্তর’ মুক্তির পরিবেশনায় এগিয়ে এসেছে জাজ মাল্টিমিডিয়া। সিনেমা হল না পাওয়া গেলেও বিকল্প ব্যবস্থায় দেশের মানুষকে ছবিটি দেখাতে চাই। ইচ্ছে আছে, ধীরে ধীরে বিভাগীয় শহরগুলোতে ‘দেশান্তর’ প্রদর্শনী করবো। নতুন নির্মাতা হিসেবে মনে হয়েছে এই ধরনের ছবির হল পাওয়া পাহাড়া ডিঙানোর মত কষ্টের। হল মালিকদের উচিত বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্টাল গল্প হলে দেখানো।”
প্রিওডিক্যাল গল্পে নির্মিত ‘দেশান্তর’ নির্মাণে ৯২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছেন আশুতোষ সুজন। তিনি বলেন, কিছু বন্ধুদের সহায়তা পেয়েছি বিধায় কাজটি সুন্দরভাবে শেষ করতে পেরেছি। দেশান্তর দেশকে নতুন করে ভালোবাসতে শেখাবে। আমাদের দেশটা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা ফুটে উঠবে ছবির গল্পে। খুব সতর্কতার সঙ্গে ছবির চিত্রনাট্য করেছি। চিত্রনাট্যে সাথে ছিলেন নূরুল আলম আতিক।