২০২০ সালে হইচইয়ের দর্শকপ্রিয় ওয়েব সিরিজ ‘তাকদীর’ এর পর নতুন কন্টেন্ট নিয়ে ফিরছেন নির্মাতা সৈয়দ আহমেদ শাওকী। নতুন এই সিরিজের নাম ‘কারাগার’। আর এটিতেও নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী।
দুই বছর পর, জনপ্রিয় এই জুটি আবার হইচইয়ে ফিরছেন অরিজিনাল সিরিজ নিয়ে! এমন খবরে উচ্ছ্বসিত দর্শক। বিশেষ করে এই সিরিজে চঞ্চল চৌধুরীর চরিত্রের লুক প্রকাশের পর নতুন করে আলোচনায় মেতেছে অনলাইন সিনেমা সিরিজের গ্রুপগুলো!
চরিত্রের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়ার জন্য অনেকটা ওজন ঝরাতে হয়েছে চঞ্চলকে। বসে যাওয়া গাঢ় লাল চোখ, কঙ্কালসার শরীরে চটের তৈরি প্রাচীনকালের কয়েদীদের পোষাক, ছোট করে ছাঁটা চুলে তার যেমন লুক, সেরকম তাকে এর আগে কখনও দেখা যায়নি। মূল গল্পের খুব বেশি প্রকাশ না পেলেও এটুকু বোঝা গেছে যে চঞ্চল চৌধুরী একটি রহস্যময় চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
নিজের এই পরিবর্তন সম্পর্কে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, “কারাগার সিরিজটি আমার অন্য কাজগুলো থেকে বেশ আলাদা। সিরিজটি বেশ ইন্টারেস্টিং, আর ক্যারেক্টারটা আমাকে ভীষণভাবে আকর্ষণ করেছে। এ ধরনের ক্যারেক্টার ফুটিয়ে তোলার জন্য সবকিছু নিখুঁত হতে হয়। আমি এই চ্যালেঞ্জটা নিতে চেয়েছি। ওজন কমানো, মেকআপের পেছনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যয় করা, কস্টিউম সব কিছু ঠিকঠাক রাখার জন্য অভাবনীয় এফোর্ড দিতে হয়েছে। আমরা সবাই যার যার জায়গা থেকে জানতাম যে আমরা কী করতে চাইছি। এখন দেখা যাক কাজটা দর্শকদের কেমন লাগে।”
এই বিষয়ে সিরিজের পরিচালক সৈয়দ আহমেদ শাওকী জানান, ‘কারাগার আমাদের আজ পর্যন্ত করা সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী কাজ। প্রায় দেড় বছর আগে, এই গল্পের আইডিয়াটা আমাদের মাথায় আসে। কারাগার আমাদের লেখা সবচেয়ে বড় চিত্রনাট্য। এতে রহস্য আছে, ইতিহাস ও নাটকীয়তা আছে। অভিনয়ের পাওয়ার হাউস সব শিল্পীদের আমি আমার সেটে পেয়েছি। এটা সত্যিকার অর্থেই একটি ড্রিম কাস্টিং। এরকম শিল্পীদের এক সঙ্গে পারফর্ম করতে দেখাটা অন্যরকম একটি আনন্দের ব্যাপার।”
‘কারাগার’ সিরিজে চঞ্চল চৌধুরীর পাশাপাশি অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন, ইন্তেখাব দিনার, বিজরী বরকতউল্লাহ্, তাসনিয়া ফারিণ, এফ এস নাঈম, শতাব্দী ওয়াদুদ, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, এ কে আজাদ সেতু সহ আরও অনেকে।
কারাগার সিরিজ সম্পর্কে হইচই বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর সাকিব আর খান বলেন, “নতুন গল্প বলার যে প্রচেষ্টা আমাদের অব্যাহত আছে, কারাগার তার নবতম এবং অন্যতম সংযোজন। যে স্কেলে এই সিরিজটা শুট করা হয়েছে, সেটা সম্ভবত বাংলা ওয়েব কন্টেন্টের ইতিহাসে প্রথমবারের মত হল। এই সিরিজ দেখার পর দর্শকদের বাংলা ওয়েব কন্টেন্টের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গী বদলে যাবে বলে আমাদের বিশ্বাস।”
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হইচই জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহেই সিরিজটির ট্রেলার রিলিজ করা হবে।
আকাশনগর সেন্ট্রাল জেলে ৩২৫ জন কয়েদী। একদিন হেড-কাউন্টের সময় দেখা গেল গোণার বাইরে একজন অতিরিক্ত কয়েদী। কয়েদী কম হলে চিন্তার বিষয়, বেশী হলে আরও চিন্তার বিষয়। কে এই কয়েদী? আর সে যে সেল কিনা গত ৫০ বছর ধরে বন্ধ, সেই ১৪৫ নাম্বার সেল এ কীভাবে এলো! এই রহস্যই উদঘাটন হবে পুরো সিরিজে!