
সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল মেকদাদ সৌদি আরব সফরে গিয়েছেন। ২০১১ সালের পর এই প্রথম সিরিয়ার কোনও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌদি আরব সফরে গেলেন। ওই বছর সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। দেশটিকে বয়কট করে পশ্চিমারাসহ বহু আরব দেশও। আগামী ১৯ মে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আরব লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তাতে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে আমন্ত্রণ জানানোর পরিকল্পনা করছে সৌদি আরব সরকার।
বৃহস্পতিবার ১৩ এপ্রিল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। এর আগে বুধবার সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেদ্দা পৌঁছান। সেখানে দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে বসেন।
সৌদি আরব এবং সিরিয়া এক যৌথ বিবৃতি জানায়, বৈঠকের সময় দু’জন সিরিয়া সঙ্কটের রাজনৈতিক সমাধানে পৌঁছানোর যৌথ প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেন। যা সিরিয়ার ঐক্য, নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করে।
যৌথ বিবৃতিতে উভয় পক্ষ বিস্তারিতভাবে দু’দেশে কনস্যুলার পরিষেবা এবং ফ্লাইট পুনরায় চালু করার প্রক্রিয়া শুরুকে স্বাগত জানায়। উভয় পক্ষ মানবিক চ্যালেঞ্জের সমাধান এবং সিরিয়ার সমস্ত অঞ্চলে সাহায্য পৌঁছানোর জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির গুরুত্বের বিষয়েও একমত হয়।

এছাড়াও সিরিয়াকে আরব লীগে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে সৌদি আরবের সহায়তার কথা বলা হয়। দু’দেশের মধ্যে দিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের ব্যাপারে উভয় দেশের পররাষ্টমন্ত্রী নমনীয়তা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের পর এই প্রথম সিরিয়ার কোনও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌদি আরব সফরে গেলেন। ওই বছর সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। সৌদি আরব তখন সিরিয়ার বিদ্রোহীপক্ষকে সমর্থন করেছিল। দেশের অভ্যন্তরে বিক্ষোভ দমনে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের চরম কঠোর অবস্থানের জেরে ২০১১ সালে সিরিয়াকে আরব লিগ থেকেও বরখাস্ত করা হয়।
এখনও অনেক পশ্চিমা এবং আরব দেশ সিরিয়াকে বয়কট করে রেখেছে। তবে সম্প্রতি সৌদি আরব সিরিয়াকে কাছে টেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।
বিজ্ঞাপন