শারীরিকভাবে আকর্ষণীয় ফিগারে হাজির হয়ে চারদিকে হইচই ফেলে দিয়েছেন অভিনেত্রী রুনা খান। মাস খানেক ধরে নতুন রুনাকে দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন সবাই। এই অভিনেত্রীর নতুনভাবে ধরা দেওয়ায় তাকে নিয়ে নতুন করে আলোচনা তৈরি হয়েছে। রুনা নিজেও এতে অবাক হওয়ার কথা জানিয়েছেন।
কোনো উদ্দেশ্যে নয়, নেহাৎ সুস্থ থাকার জন্য শারীরিক পরিবর্তন এনেছেন রুনা। তার এই পরিবর্তনে ফলাও করে নিউজ হওয়ায় তিনি অনেকটাই বিব্রতও হয়েছে। রুনা খান বলেন, বাংলাদেশের একটি জাতীয় পত্রিকায় সাক্ষাৎকার ও ছবি দিয়েছিলাম। পরে দেখলাম ইন্ডিয়াতেও নিউজ হয়েছে।
রুনা বলেন, বিয়ে সময় আমি পাতলা গড়নের ছিলাম। এখন আমার মেয়ের বয়স ১২ বছর। মা হওয়ার পর অনেকের ওজন বেড়ে যায়। আমার হয়েছিল। গত ১১ বছর ধরে ওজন কমানোর চেষ্টা করছিলাম। আগের ১০ বছরের জার্নি ছিল দুই কেজি ওজন কমে আবার তিন কেজি বাড়ে।
গত ১০ বছর ধরে এভাবে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন রুনা খান। তিনি বলেন, ৫১ বারের চেষ্টায় গিয়ে সফল হয়েছি। গত এক বছরে ওজন কমাতে পেরেছি। এর আগে ১০ বছর ৫০ বার ব্যর্থ হয়েছি কিন্তু হাল ছেড়ে দেইনি। এই গল্পটা হয়তো কেউ জানেনা। এটা আমি মনে করি একটি উৎসাহের ব্যাপার হতে পারে। যারা চেষ্টা করছেন, তাদের উদ্দেশ্যে বলবো কখনও কোনো কিছুতে চেষ্টা ছাড়বেন না। আমি খুবই আনন্দিত শেষ পর্যন্ত পেরেছি।

রুনা জানান, বিশেষ কোনো নাটক ওটিটি কনটেন্ট বা সিনেমার কাজের জন্য নয়; নিজে শারীরিকভাবে সুস্থতার জন্য এই চেষ্টা চালিয়েছেন।
রুনা খান বলেন, ওজন কমানোর জন্য খাবার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভাত মাছ শাক সবজি ডিম দুধ বাদাম খেতাম পরিমিত। কারণ ওজন কমাতে চাইলে পরিমিত খাবার খেতে হবে। প্রতিদিন হেঁটেছি। গত এক বছরের এই জার্নিতে আমার পরিবার ও কাছের বন্ধু মানসিকভাবে সাপোর্ট দিয়েছেন।
কাজের আপডেট জানতে চাইলে এ বিষয়ে বেশকিছু বাজে অভিজ্ঞতার কথাও শেয়ার করলেন রুনা। বললেন, এমনও হয়েছে এক বছর ধরে আমার সঙ্গে পরিচালকের কথা চলেছে। কিন্তু শুটিং করেছে অন্যজন। দশদিন আগেও একজন পরিচালক আমার সঙ্গে কথা বলে শুটিংয়ের আগের দিন সন্ধ্যায় ক্যানসেল করেছে। তাই শুটিং শেষ না করে আমি কাজকে নিজের কাজ মনে করি না। তাই বলতে চাই, অনেকের সঙ্গে নতুন কাজ নিয়ে কথাবার্তা চলছে। শুটিং সম্পন্ন করে নিজের কাজ মনে করে সবাইকে জানাবো।