শিল্পী সমিতির নির্বাচন ঘিরে দেশব্যাপী আলোচিত হয়েছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ। প্রবাসীরাও এফডিসির নির্বাচনে কোন শিল্পী জয়ী হচ্ছেন, এ খবর জানতে আগ্রহী ছিলেন। এই নির্বাচন ঘিরে একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বীতায় ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’ ছিলেন নিপুণ।
‘সাধারণ সম্পাদক’ পদটি নিয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন। তবে এই পদ নিয়ে নিপুণের লড়াকু মনোভাবের তারিফ করছেন অনেকে। সাধারণ মানুষ অনেকেই নিপুণকে ‘বাঘিনী’ আবার কেউ কেউ ‘সাহসী কন্যা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু এতো সাহস কোথায় পেয়েছেন নিপুণ?
জানতে চাইলে চ্যানেল আই অনলাইনকে ‘পিতার আসন’ ছবির এই নায়িকা বলেন, ‘আমার সাহস, শক্তি ও অনুপ্রেরণার উৎস প্রধানমন্ত্রী। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দেখে সবসময় অনুপ্রাণিত হই। আমাদের সংসদের স্পিকার তিনিও নারী। শিল্পী সমিতির গত ৩৭ বছরের ইতিহাসে আমি ছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে কোনো নারী নির্বাচনের চিন্তাও করেনি।’
নিপুণ বলেন, আমার মাধ্যমেই শিল্পী সমিতির এই পদে নারী নেতৃত্ব আসা শুরু হলো। অন্যদের আহ্বান জানাবো, আগামীতে আমার মতো তারাও যেন এই পদে নির্বাচন করে নেতৃত্ব দেন। আমি সবসময় শিল্পীদের পাশে আছি। নির্বাচনের আগে যা বলেছিলাম তাই করছি। এতে আমার সাহস ও শক্তির যদি কিছু থাকে তবে সেটা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে দেখে শিখেছি।
নিপুণ আরও বলেন, সিনেমাকে ভালোবাসি, সিনেমার কারণে আজকে আমি নিপুণ হয়েছি। শিল্পীদের পাশে থেকে তাদের উন্নয়নের জন্য কাজ করছি। ইতোমধ্যে ভোটাধিকার হারানো ১০৩ জন শিল্পীর ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়েছি। ইশতেহারে ছিল আমাদের শিল্পীবান্ধব প্রধানমন্ত্রীকে এফডিসিতে আনবো। হ্যাঁ, অবশ্যই তাকে এফডিসিতে আনবো। আদালতের বিষয়টা মিমাংসা হলেই আনবো।
‘সমিতি সদস্য যারা আছেন তারা কিন্তু কেউ বসে নেই। সবাই যে যার মতো সিনেমা করছেন। আমি নিজেই এখন ‘ভাগ্য’ নামে একটি সিনেমার শুটিং করছি। আগামীতে আমার সিনেমা প্রযোজনা করার ইচ্ছা আছে। নতুন প্রযোজকদের সিনেমা বানাতে উৎসাহিত করছি। ছবি বানাতে গিয়ে তারা যেন কোনো সমস্যায় না পড়েন সেই নিশ্চয়তা দিচ্ছি।’- বলছিলেন নিপুণ।
এই চিত্রনায়িকা আরও বলেন, ‘বর্তমানে যত সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে সবগুলো সিনেমা আমরা সমিতি থেকে প্রচার করছি। অনন্ত জলিল ভাই মুগ্ধ হয়ে বলেছেন তাকেও প্রচারে লাগলে জানাতে।’