এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
মেক্সিকোতে এক নারী মুখের ত্বকের বলিরেখার সমস্যা দূর করতে ‘ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল’ করাতে গিয়ে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ভাইরাসের সঠিক চিকিৎসা না হলে এইডস রোগে পরিণত হতে ভাইরাসটি সময় নিবে না।
জানা গেছে, সেই নারী যেখানে ফেসিয়াল করাতে গিয়েছিলেন তাদের বৈধ কোনো শংসাপত্র ছিল না। মার্কিন হেল্থ এজেন্সি, সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এই ধরনের অবৈধ চিকিৎসাকেন্দ্র, স্পা ও পার্লার সম্পর্কে সতর্ক করলেও তা মানছে না তরুণ প্রজন্ম।
বলিরেখা, ওপেন পোর্স, ব্রণ কিংবা মেচেতার দাগ সবই দূর করা যায় এই ফেসিয়ালের সাহায্যে তাই এই ধরনের চিকিৎসার সাহায্য নেন সব বয়সি নারীরা।
যেভাবে করা হয় এই ফেসিয়াল:
যাদের ত্বকে এই ফেসিয়াল করা হয় প্রথমে তাদের শরীর থেকে বেশ খানিকটা রক্ত সংগ্রহ করতে হয়। তার পর সেখান থেকে প্লাজমা আলাদা করে ত্বকের উপরের স্তরে সেই তরল ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রবেশ করানো হয়। যার ফলে নতুন কোষ তৈরি হয় তাড়াতাড়ি। পুরনো ক্ষত সারাতে ত্বকের নিজস্ব প্রোটিন অর্থাৎ কোলাজেন উৎপাদন বেড়ে যায়। যে হেতু গোটা পদ্ধতিটি ‘লোকাল অ্যানাসন্থেসিয়া’ দিয়ে ‘মাইক্রোনিডল’ পদ্ধতিতে করানো হয়, তাই ত্বকে বিশেষ ব্যথা অনুভূত হয় না। কিন্তু এই ফেসিয়ালে সূচের ব্যবহার রয়েছে। তাই পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সতর্ক না হলে ‘এইডস’-এর মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়।